কুলেখাড়া

কুলেখাড়ার ভেষজ চিকিৎসা সংক্রান্ত গুণাগুণ

কুলেখাড়া অনেকের কাছেই পরিচিত। এর ইংরেজি নাম হলো Starthorn। এর স্হানীয় নাম কুলেখাড়া, কান্তা কালিকা, কুলিহারকা,ক্ষরিক, সংস্কৃত নাম গোকুলকাঁট। আর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Hygrophila auriculata। বর্ষাকালে এই গাছ হয় এবং তা দেখতে হেলেঞ্চা শাকের মত। তবে এর পাতাগুলো একটু লম্বা হয়। দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়,আবার জায়গা হিসেবে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হতে দেখা যায়।

পাতার গাঁয়ে শুয়োর মতো কাঁটা কাঁটা বের হয়। এটি সাধারণত পুকুর পাড়ের আর্দ্র স্হান,নর্দমা এবং ধানক্ষেতে জন্মে।যেখানে হয় সেখানে ঝোপ হয়ে যায়। এটি মূলত ইন্দো-চীন, মায়ানমার, ভারত,নেপাল,শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে এর প্রচলন অনেক। বাংলাদেশেও এই প্রজাতি সারা দেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত।

রাসায়নিক উপাদান: কুলেখাড়ার পাতা শিকড় ও বীজ উপকারী এবং রাসায়নিক উপাদানে ভরপুর। এতে আছে এলকালয়েড্স,ফাইটোস্টরোল ও সুগন্ধের তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে।

উপকারিতা: ১। শিশুর যদি অনেক বেশি রাগ বা জেদ হয় তাহলে কুলেখাড়া পাতা ডাঁটাসহ ঝোল করে কিছুদিন খাওয়ালে উপকার পাবেন। ২। অনিদ্রা দেখা দিলে প্রত্যেক সন্ধ্যাবেলায় কুলেখাড়ার মূলের রস অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে। ৩। কেটে গিয়ে যদি রক্তপাত হতে থাকে, রক্ত বন্ধ না হয় তাহলে কুলেখাড়ার পাতা থেঁতো করে কাঁটা স্থানে দিয়ে বেঁধে দিন। দেখবেন রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। ৪। শরীরে রক্ত কমে গিয়ে দেহের বর্ণ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কুলেরেখা পাতার রস অল্প গরম করে খেলে দেখবেন রক্তের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন: