মশার কামড় অস্বস্তিকর চুলকানির সৃষ্টি করে, যা কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা গেলেও, আপনার রান্নাঘর বা বাগানে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মশার কামড়ের চুলকানি কমাতে সহায়ক হতে পারে। নিচে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো:
১. পেঁয়াজ:
পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মশার কামড়ের ক্ষত এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। একটি পেঁয়াজ কেটে আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণ ঘষে নিন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. রসুন:
রসুনেও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে পেট্রোলিয়াম জেলি বা লোশনের সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট লাগিয়ে ঠান্ডা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
৩. বরফ:
বরফ ঠান্ডা করে ত্বককে অসাড় করে তোলে এবং প্রদাহ কমায়, যা তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। একটি কাপড়ে বরফের টুকরা পেঁচিয়ে আক্রান্ত স্থানে ৫-১০ মিনিটের জন্য কয়েকবার প্রয়োগ করুন। আইস প্যাকও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. গরম পানি:
গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিটের জন্য জলপট্টি দিন।
৫. ভিনেগার:
ভিনেগার চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করতে পারে। ঠান্ডা পানির সাথে ভিনেগার মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান অথবা কুসুম গরম পানিতে দুই কাপ ভিনেগার মিশিয়ে ২০ মিনিট গোসল করতে পারেন (তবে পানি বেশি গরম করবেন না)।
৬. তুলসী পাতা:
তুলসী পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শুকনা তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই মিশ্রণ দিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন।
৭. বেকিং সোডা:
এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অস্বস্তি হলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
৮. মধু:
মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে সামান্য মধু লাগিয়ে রাখুন। এটি চুলকানোর ইচ্ছাও কমিয়ে দেবে।
৯. অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরার জেল পোড়া ও পোকামাকড়ের কামড়ের ক্ষত নিরাময়ে কার্যকর। অ্যালোভেরা পাতার ভেতরের জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার ব্যবহার করুন।
এসব প্রাকৃতিক উপাদান মশার কামড়ের চুলকানি কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে, চুলকানি যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।