অনন্তমূল

অনন্তমূলের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি

অনন্তমূল (Indian Sarsaparilla) এটি একটি লতানো উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hemidesmus indicus। কোন কিছুর উপর ভর করে কিংবা অন্য গাছকে অবলম্বন করে পেচিয়ে থাকে। মূল অনেক লম্বা হয় এবং মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে বলে এর নাম হয়েছে অনন্তমূল। এর আশ্বিন হতে পৌষ মাসে ফল ধরে। বীজ থেকে চারা তৈরি করে লাগানো যায়। তবে সচরাচর অঙ্গজ অংশের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। বর্ষা মৌসুমের পূর্বে বীজ বপন করতে হয়।

এর পাতা দেখতে সরু ও লম্বা, দেখতে কালচে সবুজ। পাতার মাঝখানে শিরা বরাবর সাদা দাগ থাকে। পাতা ও লতার যেকোন অংশ ছিড়লেই সাদা রঙের কষ বের হয়। এটি নানা রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের শাল বনে এটি বেশী পাওয়া যায়।

রাসায়নিক উপাদান: মূলের প্রধান উপাদান কুমারিন ও উদ্বায়ী তেল। তাছাড়াও এতে স্টেরল, টার্পিন, অ্যালকোহল, লুপিয়ল, স্যাপোনিন ও ট্যানিন বিদ্যমান। এর পাতাসহ গাছের সমস্ত অংশ।

উপকারিতা: ১। যদি কারো অতিসার সমস্যা থেকে তাহলে অনন্তমূল -চূর্ণ করে গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে গরম গরম সেবন করলে অতিসার রোগের উপকার পাওয়া যাবে। ২। মূএ রোগ হলে অন্ততমূল পানিতে গরম করে সেবন করলে মূএের যে কোন রোগ নিরাময় হবে।

৩। চর্মরোগ দেখা দিলে অন্ততমূলের চূর্ণ বা তার ক্কাথ সেবন করলে চর্মরোগ ভালো হয়ে যায়। ৪। শিশুদের পেটে কৃমি হলে তাকে অনন্তমূল চূর্ণ নিয়ে তার সঙ্গে মধু বা দুধ মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর কৃমি নাশ ও পুষ্টি বৃদ্ধি হয়। ৫।পাথুরি রোগ হলে গরুর দুধের সঙ্গে অনন্তমূল চূর্ণ পান করলে পাথুরি ভালো হয়ে যায়।

শেয়ার করুন: