রহমতের নবম দিনে যে দোয়া পড়বে রোজাদার

রহমতের দশকের নবম দিন আজ। এ দশকে আল্লাহর রহমতই কামনা করে মুমিন। শেষ মুহূর্তে রহমত কামনায় আল্লাহর কাছে ধরনা দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

রহমতের দশকে যে ব্যক্তি রহমত লাভ করবে, তার জন্য মাগফেরাত সহজ হয়ে যাবে এবং সর্বশেষ জাহান্নামের আগুন থেকেও সে নাজাত পাবে। তাই রহমতের দশকের অন্তিম মুহূর্তে আল্লাহর রহমত লাভে পড়ুন-

اَللًّهُمَّ اجْعَلْ لِيْ فِيْهِ نَصِيْبًا مِّنْ رَّحْمَتِكَ الْوَاسِعَةِ، وَاهْدِنِيْ فِيْهِ لِبَرَاهِيْنِكَ السَّاطِعَةِ، وَخُذْ بِنَاصِيَتِيْ إلَى مَرْضَاتِكَ الْجَامِعَةِ, بِمُحَبَّتِكَ يَا أمَلَ الْمُشْتَاقِيْن

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাঝআললি ফিহি নাসিবাম মির রাহমাতিকাল ওয়াসিআতি; ওয়াহদিনি ফিহি লিবারাহিনিকাস সাত্বিআতি; ওয়া খুজ বিনাসিয়াতি ইলা মারদাতিকাল ঝামিআতি; বিমুহাব্বাতিকা ইয়া আমালাল মুশতাক্বিন।

অর্থ : হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আপনি আমাকে আপনার প্রশস্ত রহমতের অধিকারী করুন। আমাকে পরিচালিত করুন আপনার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল! আপনার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে আপনার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যান।’

রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-

আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।

সুতরাং এরপরও যদি মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে না পারে, মন্দ কাজের প্রভাবমুক্ত হয়ে ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, তবে এর চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে?

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রহমতের দশকে অনুগ্রহ লাভ করার মাধ্যমে রমজানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে মাগফেরাত ও নাজাতের উপযোগী করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ার করুন: