আদম সন্তান হাজারে নয়শত নিরানব্বই জনই দোযখী!

ছহীহ্ বোখারী শরীফ-১৪৬৫. হাদীস: হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) বর্ণনা করেন। নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন। হাশরের দিন আদম (আ.) কে আল্লাহ তায়ালা ডেকে এনে নির্দেশ দিবেন। আপনার সন্তানদের মধ্যে চির দোযখী দলকে ভিন্ন করে দিন। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, চির দোযখী দলের সংখ্যা কিরূপ? তখন আল্লাহ তা’লা বলবেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন।

এ ঘোষণা শুনে মানুষ ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এ ভীতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, আর এ ধরনের ভয়ে বালক বৃদ্ধ হয়ে যাবে, গর্ভবর্তীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। আল্লাহ তা’লার এ আদেশ শুনে সমস্ত মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে। প্রকৃত পক্ষে তারা অচেতন হয়ে যাবে না কিন্তু আল্লাহ আযাব ভয়ঙ্কর।

এ বর্ণনায় সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, সে একজন আমাদের মধ্যে কে হবে? আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা শান্ত হও। তোমরা একজন এবং হাজারের বাকী সংখ্যা হবে ই’জুজ মা’জুজ। তারপর নবী করীম (সা.) কসম করে ঘোষণা করলেন। আমি আশা করি সমস্ত বেহেশত বাসীর মধ্যে তোমরা হবে এক চতুর্থাংশ।

এ সু সংবাদ শুনে সাহাবীরা তাকবীর ধ্বনি দিয়ে উঠলেন। তারপর তিনি বললেন, আমি আশা করি তোমরা হবে এক তৃতীয়াংশ। সাহাবীরা আবার তাকবির দিলেন। তার পরে তিনি আবার বললেন, আমি আশা করি তোমরা হবে অর্ধাংশ। এবারও সাহাবীগণ তাকবীর ধ্বনি দিলেন। তিনি আবারও বললেন, কাফেরের তুলনায় তোমরা এরূপ হবে যেরূপ সাদা বলদের গায়ে কতিপয় কাল লোম বা কাল বলদের গায়ে কতগুলি সাদা লোম।

রমজানে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়

ছহীহ বোখারী শরীফ ১৪৬১. হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাস আসলে বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলে বন্দী করে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন: