পবিত্র মদিনা শরীফে রাসুল (স.) এর স্মৃতিবিজড়িত ৬টি মসজিদ

মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ পবিত্র ও ভালোবাসার স্থান রাসুলের রওজা, মসজিদে নববি, সবুজ গম্বুজসহ মদিনায় অবস্থিত মসজিদগুলো। মদিনার মসজিদ নববি ছাড়াও রয়েছে প্রিয়নবি (স.) এর স্মৃতি বিজড়িত অনেক মসজিদ। যার অনেক মসজিদে নামাজ আদায়ের রয়েছে বিশেষ ছাওয়াব ও ফজিলত। সে সব মসজিদ সম্পর্কে জানুন ও ছবি দেখুন।

মিকাত মসজিদ: মদিনা মুনাওয়ারা থেকে মক্কা মুকাররামা যাওয়ার পথে মসজিদে নববী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আকিক উপত্যকার পশ্চিম পাশেই এ মসজিদটি অবস্থিত। এটি মদিনাবাসীদের জন্য মিকাত হওয়ায় ‘মসজিদে মিকাত’ নামে পরিচিত। রাসুল (স.) হজ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কা যাওয়ার সময় এই জায়গায় একটি গাছের নিচে নামতেন এবং সেখানে সালাত আদায় করে ওমরাহ অথবা হজের ইহরাম বাঁধতেন। এ কারণে এটিকে মসজিদে শাজারাহ্ও বলা হয়।

মসজিদে জুমআ: হিজরতের সময় প্রিয়নবি (স.) রানুনা উপত্যকায় একশত সাহাবাকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম জুমআর নামাজ আদায় করেন। পরবর্তিতে এ স্থানে মসজিদ নির্মাণ হয়। আজকের পৃথিবীতে যা ‘মসজিদে জুমুআ’ নামে পরিচিত।

মসজিদে কুবা: মদিনা আগমন করে প্রিয়নবি সর্ব প্রথম যে স্থানে নামাজ আদায় করেন। তার নাম কুবা। পরবর্তীতে এ স্থানে মসজিদ গড়ে ওঠে। যা ‘মসজিদে কুবা’ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে।

মসজিদে কেবলাতাইন: যে মসজিদে প্রিয়নবি (স.) এর দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল। এ মসজিদেই বাইতুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে পবিত্র কাবা শরিফ কেবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। এখনো সে মসজিদে দুই দিকে দুটি মিহরাব বিদ্যমান রয়েছে।

মসজিদে গামামাহ: মসজিদে নববির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মসজিদে গামামাহ। মদিনায় প্রথম ঈদের নামাজও পড়া হয় এ মসজিদে। এ স্থানে প্রিয়নবি (স.) বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন বলে এটিকে ‘মসজিদে গামামাহ’ বলা হয়। প্রিয়নবি (স.) শেষ জীবনের ঈদের নামাজগুলোও মসজিদে গামামাহর স্থানে আদায় করেন। এটি মসজিদে নববির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এ মসজিদকে মসজিদে মুসাল্লাহও বলা হয়।

মসজিদে আবু বকর: ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালে তিনি এ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ান। তাই এটি ‘মসজিদে আবু বকর’ নামে পরিচিতি লাভ করে। যা মসজিদে গামামাহর উত্তরে অবস্থিত। এছাড়া ও মদিনায় আরো অনেক মসজিদ রয়েছে।

শেয়ার করুন: