দেহকে টিকিয়ে রাখতে যেমন খাদ্যের দরকার হয়। তেমনিভাবে অন্তর বা আত্মাকে টিকিয়েও রাখতে খাবারের প্রয়োজন। আল্লাহ পাকের ইবাদতই আত্মার সেই খাদ্য।
আর এই দুই প্রকার খাদ্যই পরিপূর্ণ সুস্থতার সঙ্গে দুনিয়ায় টিকে থাকতে মানুষের জন্য নিয়মিত দরকার। আর আল্লাহর দরবারে দোআ কবুল হওয়ার কিছু সময় রয়েছে। পাঁচটি সময় দোয়া কবুলের জন্য আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেয়া হয়।
জোহরের আগমুহূর্তে
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেয়া হয় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ার সময়। এরপর জোহরের সালাত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হয় না। আমি চাই সেই সময়ে আমার কোন ভালো কাজ ওপরে উঠুক। (সহিহুল জামি: ১৫৩২)
আজানের সময়
নবী করিম (সা.) বলেছেন.যখন আজান দেয়া হয়, তখন আসমানের দুয়ার খুলে দেয়া হয় এবং দোয়া কবুল করা হয়। (সহিহুত ত্বারগিব: ২৬০)
এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষার সময়
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শুভ সংবাদ! তোমাদের রব আসমানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন, ‘আমার বান্দারা আমার আরোপিত ফরজ (নামাজ) আদায়ের পর আরেক ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে।’ (ইবনে মাজা: ৮০১)
রাতের শেষার্ধে
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, কেউ কি কোন আর্জি পেশ করার আছো? তার আর্জি গৃহীত হবে। কারো চাওয়ার কিছু আছে? তা মঞ্জুর হবে। আছে কোন বিপদগ্রস্থ?
তার বিপদ দূর করা হবে। তখন পেশাদার ব্যভিচারিনী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা লোক ব্যতীত কোনো মুসলিমের দোআই ব্যর্থ হয় না। (সহিহুত ত্বারগিব: ৭৮৬)