ইসলাম

আরবি মাসের নামের অর্থ

আরবি ১২ মাসের নাম অর্থ সহ আলোচনা করব। এই লিখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শিখবেন কিভাবে খুব সহজেই আপনার সন্তানকে আরবি মাসের নাম গুলো মুখস্ত করাবেন।

মহররম: জাহেলি যুগে এই মাসে কোনো ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা নিষিদ্ধ ছিল। তাই এই মাসকে ‘মুহাররমুল হারাম’ নামকরণ করা হয়েছে।

সফর: সফর শব্দটি সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ শূন্য হওয়া, জাহেলি যুগে সফর মাসে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে ঘর শূন্য হয়ে যেত, তাই এ মাসের নাম ‘সফর’ রাখা হয়েছে।

রবিউল আউয়াল: এই মাসের নামকরণকালে ফসলে রবি তথা বসন্তকাল ছিল। তাই তার নামকরণ হয়েছে রবিউল
আউয়াল। রবিউস সানি: এর নামকরণকালে তৎকালীন আরবে বসন্তের শেষার্ধ চলছিল। তাই এর নাম রবিউল আখের বা শেষ বসন্ত রাখা হয়েছে।

জুমাদাল উলা: জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে। এর অর্থ জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। আর ‘উলা’ মানে প্রথম। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন আরবে ঠাণ্ডার মৌসুম শুরু হয়। আর ঠাণ্ডার কারণে অনেক জিনিস জমে যায়। এ জন্য এ মাসের নাম ‘জুমাদাল উলা’ রাখা হয়েছে।

জুমাদাল উখরা: জুমুদ মানে জমে যাওয়া। আর উখরা মানে দ্বিতীয়, পুনরায় ও অন্য। আরবে যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন শীতের তীব্রতা আরেকবার বেড়ে যেত। এমনকি পানিও জমে যেত। তাই এর নাম ‘জুমাদাল উখরা’ রাখা হয়েছে।

রজব: রজব শব্দটি রজিব থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো সম্মান করা। আরববাসী যেহেতু এ মাসকে সম্মান করত এবং ‘আল্লাহর মাস’ বলত, তাই এ মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

শাবান: শাবান ‘শাব’ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। যেহেতু এ মাসে বিপুল কল্যাণ প্রকাশিত হয়, মানুষের রিজিক বণ্টিত হয় এবং তাকদিরের ফয়সালা নির্ধারিত হয়, তাই এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

রমজান: রমজান শব্দের মূল অর্থ জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়, তাই এ মাসের নাম রমজান রাখা হয়েছে।

শাওয়াল: শাওয়াল শব্দটি ‘শাওল’ মূল ধাতু থেকে নির্গত। এর অর্থ বাইরে গমন করা। এখানে আরববাসী নিজ ঘরবাড়ি ত্যাগ করে ভ্রমণে যেত। তাই ‘শাওয়াল’ নামে এর নামকরণ করা হয়।

জুলকদ/জিলকদ: ‘জুল/জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ অর্থ বসা, যেহেতু এ মাস সম্মানিত মাসের একটি। আরবরা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকত।

জুলহজ/জিলহজ: জুলহজ/জিলহজ শব্দটি সম্ভবত হাজ্জাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ একবার হজ করা। অথবা শব্দটি ‘হিজ’ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর মানে অর্থবছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে এবং এর দ্বারাই পূর্ণ বছরের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জুলহজ/জিলহজ।

শেয়ার করুন: