যুবতী শাশুড়ির সাথে দেখা-সাক্ষাত জায়েয?

প্রশ্নঃ আমার শাশুড়ি যুবতী ও খুব সুন্দরী। একজন আলেম সাহেবের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি আমার শাশুড়ির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলেন। তার কথা কতটুকু সঠিক?

উত্তরঃ নমায, রোযা, হজ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদতের ন্যায় পর্দাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নামায, রোযা ইত্যাদি ইবাদত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদায় করলেই আদায় হয়ে যায়। কিন্তু পর্দা প্রতিটি মুহূর্তের জন্য ফরয।

অল্প সময়ের জন্যেও ইচ্ছাকৃতভাবে পর্দার খেলাফ চললে কবীরা গুনাহ হবে। কাজেই প্রত্যেক নর-নারীর জন্য উচিত এমনভাবে চলা-ফেরা করা, যেন কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা পর্দা লঙ্ঘিত না হয়।

বালিগ ছেলে-মেয়েদের প্রত্যেকের মাহরাম তথা যাদের সাথে বিবাহ অবৈধ বা হারাম অর্থাৎ যাদের সাথে দেখা-সাক্ষাত জায়েয, তা তিন ধরনের সম্পর্কের কারণে হতে পারে: বংশের সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্ক, দুধ সম্পর্ক।

উক্ত ‍তিন ধরনের সম্পর্কের মাহরামের সাথে দেখা-সাক্ষাত মূলত জায়েয। তবে ফিতনার আশংকায় উলামায়ে কেরাম তাকওয়া ও পরহেযগারীর লক্ষ্যে কিছু সংখ্যক মাহরামের সাথে দেখা সাক্ষাত জায়েয মনে করা সত্ত্বেও তাদের সাথে মাহরাম সুলভ আচরণ তথা পর্দা করতে বলেছেন। যেমন যবক বা মাঝ বয়সী শ্বশুর, যুবতী মহিলার জন্য নিজ মেয়ের স্বামী এবং দুধ সম্পর্কীয় ভাই ইত্যাদি।

কাজেই আলেম সাহেবের কথা ঠিক। আপনার জন্য এমন শ্বাশুড়ির সাথে পর্দা করা ও নির্জনে একত্রিত হওয়া উচিত হবে না। কারণ, আল্লাহ না করুন, কোন যুবক তার যুবতী শাশুড়ির সাথে সাথে পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন না করায় কামভাব নিয়ে স্পর্শ বা এ ধরনের অন্য কোন আচরণ হয়ে যায় তা হলে স্বামীর জন্য তার স্ত্রী চির তরে হারাম হয়ে যাবে। যা মহাবিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তথ্যসূত্রঃ তিরমিযী শরীফ ১/২২১, শামী ৬/৩৬৯, আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৬, মাহমুদীয়া ১৭/২৭৩

শেয়ার করুন: