চোখের এলার্জি

চোখের এলার্জির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ঔষধের নাম

এপিস মেল (Apis Mel): তাপ বা গরম থেকে এলার্জি বা ঘামের পর এলার্জিতে, তীব্র ও যন্ত্রনাদায়ক এলার্জিতে এপিস মেল (Apis Mel) কার্যকরী। এলার্জি জনিত কারনে চোখের চারপাশ ফুলে থাকে, চোখের পাতাও ফুলে যায়।

আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum): বেশী চিনি/মিষ্টি খাওয়ার ফলে এলার্জি হলে আর্জেন্টাম নাইট কার্যকরী। আর্জেন্টাম নাইটের রোগীরা মিষ্টি বিশেষ করে চিনি পছন্দ করে, আবার সেই মিষ্টিই রোগীর রোগকে বৃদ্ধি করে।

চোখ থেকে হলুদ বা পুঁজের মতো তরল / পানি বের হয় সাথে ফোলাভাব এবং চোখের সাদা এবং ভিতরের কোণে লাল / লালচে ভাব এবং জ্বালা, এরূপ লক্ষনে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum)। রোগীর চোখ ক্লান্তময় এবং ব্যথাযুক্ত হতে পারে, আলো এবং গরমে বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা পানি, এবং তাজা বাতাসে আরাম / উপশম। আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum) রোগীদের প্রায়ই লবণ এবং মিষ্টি পছন্দ করে।

পালসেটিলা (Pulsatilla): পালসেটিলা রোগীর এলার্জির লক্ষনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘন ঘন হাঁচি; নাক লাল হয়ে যায়, চুলকানি, চোখের পাতা ফোলা, চোখ দিয়ে একটা হলুদ মতন পাতলা পানির মত বের হয়, চোখ জ্বালা করে এবং সাথে চুলকানি, মনে হয় চোখের পাতাগুলো দানা বেঁধে আছে রোগীর গরম পছন্দ নয়, গরমে বা উত্তাপে রোগ বৃদ্ধি হয় এবং তাজা বাতাসে পছন্দ এরূপ চোখের এলার্জিতে পালসেটিলা (Pulsatilla)।

সালফার (Sulphur): চুলকানিতে ব্যবহৃত অন্যতম উত্তম হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হল সালফার। এন্টিবায়োটিক থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে, ডাস্ট এলার্জিতে সালফার ভালো কাজ করে। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো এলার্জি অবস্থায় চোখ লাল হয়ে যায়, রাতে ও গরমে বৃদ্ধি পায়, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।

চোখ খুব লাল, জ্বালা (জ্বলন্ত), ব্যথা এবং চুলকানি সহ। চোখের সাদা অংশ লালভাব এবং রক্তাক্তের মত দেখায় এবং চোখের পানি গরম মনে হয়, লক্ষণগুলি তাপে-আলোতে চোখের সমস্যা বৃদ্ধি করে, চোখের পাতা সংকুচিত দেখাতে পারে, বিশেষ করে সকালে।

সালফারের রোগীরা স্বার্থপর টাইপের হয়, অন্যদের জন্য ভালো কামনা করেনা, খুব অলস ব্যক্তি, পরিচ্ছন্নতার প্রতি আগ্রহী নয়, পোশাকের যত্ন নেয় না, গোসল করতে ভালো লাগে না, গোসল করলে রোগ বৃদ্ধি পায়। সব সময় চর্মরোগ থাকে, চুলকাতে প্রচুর ভালো লাগে, মনের সূখে চুলকাতে থাকে, চুলকালে উপশম হয় ও আরাম লাগে কিন্তু চুলকানোর পরে প্রচুর জ্বালা করে।

রুটা (Ruta Grave): মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে বা ঢুকেছে , চোখের ভিতর ধুলোর মত বা ধুলো ঢুকে আছে বলে মনে হয়, চোখ ব্যথা ও লাল হয়ে যায় এরূপ লক্ষনে রুটা।

শেয়ার করুন: