আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum): বেশী চিনি/মিষ্টি খাওয়ার ফলে এলার্জি হলে আর্জেন্টাম নাইট কার্যকরী। আর্জেন্টাম নাইটের রোগীরা মিষ্টি বিশেষ করে চিনি পছন্দ করে, আবার সেই মিষ্টিই রোগীর রোগকে বৃদ্ধি করে।
চোখ থেকে হলুদ বা পুঁজের মতো তরল / পানি বের হয় সাথে ফোলাভাব এবং চোখের সাদা এবং ভিতরের কোণে লাল / লালচে ভাব এবং জ্বালা, এরূপ লক্ষনে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum)। রোগীর চোখ ক্লান্তময় এবং ব্যথাযুক্ত হতে পারে, আলো এবং গরমে বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা পানি, এবং তাজা বাতাসে আরাম / উপশম। আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum) রোগীদের প্রায়ই লবণ এবং মিষ্টি পছন্দ করে।
আর্সেনিক (Arsenic Album): খোলসযুক্ত মাছ খেয়ে এলার্জি, অবিরত হাঁচি, চোখ জ্বলে ও পানি পরে, অস্থিরতা, ঠান্ডায় বৃদ্ধি, গরমে উপশম, ঘনঘন অল্প অল্প পানি পান করে এমনকি ঠান্ডা পানীয়, ফল, পচা খাবার থেকে এলার্জিতে আর্সেনিক কার্যকরী ঔষধ। যাদের গরুর মাংসের প্রচন্ড এলার্জি, শরীরে ফুস্কুরির মত দেখা দেয়, প্রচুর চুলকায়, ঝিন ঝিন করে জ্বালা, গরম সেক দিলে উপশম হয় এরূপ লক্ষনে আর্সেনিক এলবাম।
সালফার/ নাক্স ভোম Sulphur/Nux Vom: এন্টিবায়োটিক বা কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে এলার্জি হলে Sulphur/ Nux-Vom কার্যকরী।
কার্বো ভেজ (Carbo Veg): অ্যাসপিরিন (Aspirin Allergy) থেকে এলার্জি; খারাপ মদ, পচা-বাসী খাবার (পঁচা গন্ধযুক্ত মাছ-মাংসের কুফল), লবণ, লোনা মাংস, মাখন,খারাপ ডিম, পোল্ট্রি আইটেম থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে কার্বোভেজ কার্যকরী। এছাড়াও গরমে বৃদ্ধি ও শীত বা ঠান্ডা অপছন্দ, যে সকল খাদ্য / দ্রব্যবস্তুতে রোগের সৃষ্টি হয় / বাড়ে রোগী সেগুলোই খেতে চায় ইত্যাদি কার্বো ভেজ এর লক্ষন।
সালফার (Sulphur): চুলকানিতে ব্যবহৃত অন্যতম উত্তম হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হল সালফার। এন্টিবায়োটিক থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে, ডাস্ট এলার্জিতে সালফার ভালো কাজ করে। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো যেমন সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, এলার্জি অবস্থায় চোখ লাল হয়ে যায়, রাতে ও গরমে বৃদ্ধি পায়, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।
সালফারের রোগীরা স্বার্থপর টাইপের হয়, অন্যদের জন্য ভালো কামনা করেনা, খুব অলস ব্যক্তি, পরিচ্ছন্নতার প্রতি আগ্রহী নয়, পোশাকের যত্ন নেয় না, গোসল করতে ভালো লাগে না, গোসল করলে রোগ বৃদ্ধি পায়। সব সময় চর্মরোগ থাকে, চুলকাতে প্রচুর ভালো লাগে, মনের সূখে চুলকাতে থাকে, চুলকালে উপশম হয় ও আরাম লাগে কিন্তু চুলকানোর পরে প্রচুর জ্বালা করে।
নেট্রাম মিউর (Natrum Mur): রুটি থেকে অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং অতিরিক্ত লবন প্রিয়দের এলার্জিতে নেট্রাম মিউর একটি কার্যকরি ঔষধ। নেট্রাম মিউরের অ্যালার্জির ক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষন হল একের পর এক হাঁচি দিয়ে নাক, গলা, কান বেশি চুলকায়। নেট্রাম মিউরের রোগী অত্যন্ত আবেগপ্রবণ, খিটখিটে প্রকৃতির এবং যখন মন খারাপ থাকে তখন কারো উপস্থিতি বা কোন সান্ত্বনা দেওয়া পছন্দ করে না, সান্ত্বনা মনের খারা বাড়িয়ে তোলে।
লেপিস এল্বা (Lapis Alba): মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুলকানিতে লেপিস এল্বা একটি কাযর্কর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। এর প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো জ্বালাপোড়া, সূঁই ফোটানো-হুল ফোটানো ব্যথা, রাক্ষুসে ক্ষুধা, মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ ইত্যাদি।
পালসেটিলা (Pulsatilla): গরমকাতর এবং নরম মনের মানুষ, চর্বিযুক্ত খাদ্য যেমন – মিষ্টি, মাংস, পোলাও পিঠা খেয়ে সৃষ্ট এলার্জিতে পালসেটিলা (Pulsatilla) অতি কার্যকরি ঔষধ। পালসেটিলা রোগীর এলার্জির লক্ষনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘন ঘন হাঁচি; নাক লাল হয়ে যায়, চুলকানি। পালসেটিলার চোখের এলার্জির ক্ষেত্রে চোখের পাতা ফোলা, চোখ দিয়ে একটা হলুদ মতন পাতলা পানির মত বের হয়, চোখ জ্বালা করে এবং সাথে চুলকানি, মনে হয় চোখের পাতাগুলো দানা বেঁধে আছে ইত্যাদি লক্ষন । রোগীর গরম পছন্দ নয়, গরমে বা উত্তাপে রোগ বৃদ্ধি হয় এবং তাজা বাতাসে পছন্দ।
লাইকোপেডিয়াম (Lycopodium): খোলসযুক্ত মাছ খেয়ে এলার্জি, গরম ও মিষ্টি খাদ্য পছন্দ করে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা (কোষ্ঠকাঠিন্য) থাকলে লাইকোপেডিয়াম একটি চমৎকার ও কার্ষকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। অম্বল, গ্যাস, এবং পেটে কাঁপুনি সহ খাদ্যে এলার্জির সমস্যায় লাইকোপেডিয়াম উপকারী। লাইকোপেডিয়ামের রোগীরা খুদা অনুভব করে, কিন্তু অল্পতেই পেট ভরে যায়, খাওয়ার পরে ক্লান্তি বা ঘুম পায়। সমস্যা সাধারণত বিকাল এবং সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়।
ডলিকস (Dolicos): গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে ডলিকস (Dolicos) অতি কার্ষকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
এপিস মেল (Apis Mel): তাপ বা গরম থেকে এলার্জি বা ঘামের পর এলার্জিতে এপিস মেল (Apis Mel) কার্যকরী।
আর্টিকা ইউরেন্স (Urtica Urens): খোলসযুক্ত কোন প্রাণীর মাংস যেমন – চিংড়ি, কাঁকড়া, ঝিনুক-শামুক ইত্যাদি খেয়ে সৃষ্ট এলার্জি, আক্রান্ত স্থানে হাত বোলালে উপশম, শুইলে মিলিয়ে যায়, বিছানা থেকে উঠলেই আবার বের হয়, চুলকালে ফুলে যায় এরূপ লক্ষনে – আর্টিকা ইউরেন্স একটি চমৎকার ও কার্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
জাস্টিসিয়া অটোটেডা (Justicia Adhatoda): ধুলো থেকে এলার্জি (ডাস্ট এলার্জি), সান্ধ্যকালীন সময়ে নাক দিয়ে প্রচুর পানি ঝড়ে সাথে হাঁচি এরূপ এলার্জিতে জাস্টিসিয়া কার্ষকরি ঔষধ।
ডালকামারা (Dulcamara): ঠান্ডা থেকে বা ”দিনে গরম রাতে ঠান্ডা ” এ রকম আবহাওয়া, আদ্রতাযুক্ত আবহাওয়ার কারনে এলার্জি হলে ডালকামারা অতি কার্যকরী।
সোরিনাম (Psorinum): রোগী শীতকাতর, নোংরা প্রকৃতির, গম বা গম জাতীয় খাবার খেয়ে এলার্জি হলে সোরিনাম। শরীরে অসহ্য চুলকানি, বিছানার গরমে বৃদ্ধি, চুলকাতে চুলকাতে রক্ত বের হয়। দুর্দমনীয় চুলকানি, চুলকানী পর ঠান্ডা মুক্ত বাতাস চায়। ঠান্ডা বাতাসে, শীতের শুস্ক ঠান্ডায়, আবহাওয়া/ঋতু পরিবর্তনে রোগ বৃদ্ধি, বিছানার উত্তাপ সহ্য হয় না ।
নাক্স ভোম (Nux Vom): কফি থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে নাক্স ভম দারুন কার্যকরী। উদ্দীপক/উত্তেজক, অ্যালকোহল, তামাক, মিষ্টি খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং সেগুলি থেকে খারাপ বোধ করে এরূপ লক্ষনে Nux Vom।
পেট্রোলিয়াম (Petroleum): বাঁধাকপি থেকে এলার্জিতে, বিশেষ করে শীতকালে, পেট্রোলিয়াম কার্যকরী। রোগ বিছানার তাপে ও বাঁধাকপি খেলে বাড়ে, খোলা বাতাসে উপশম, তেল-তৈলাক্ত এবং গরম খাবার, মাংস ইত্যাদি পছন্দ।
থুজা (Thuja Occidentalis): মিষ্টি, তেল-চর্বিযুক্ত (তৈলাক্ত) খাবার, পেঁয়াজ থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে থুজা কার্যকরী।
সিপিয়া (Sepia): গরম দুধ থেকে এলার্জি, ঠান্ডা লেগে চাবুকের দাগের ন্যায় লম্বা এলার্জি এবং গরম/উত্তাপে তা মিলিয়ে যায় তাতে সিপিয়া কার্যকরী।
হিস্টামিন (Histamine): ডাস্ট, ময়লা, ধুলো-বালি বা ডাস্ট এলার্জি, তীব্র সুগন্ধি থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে হিস্টামিন কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
এরান্থাস (Ailanthus): ফুলের গন্ধে এলার্জি হলে এরান্থাস কার্যকরী।
চোখের এলার্জিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ঔষধ
এপিস মেল (Apis Mel): তাপ বা গরম থেকে এলার্জি বা ঘামের পর এলার্জিতে, তীব্র ও যন্ত্রনাদায়ক এলার্জিতে এপিস মেল (Apis Mel) কার্যকরী। এলার্জি জনিত কারনে চোখের চারপাশ ফুলে থাকে, চোখের পাতাও ফুলে যায়।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum): বেশী চিনি/মিষ্টি খাওয়ার ফলে এলার্জি হলে আর্জেন্টাম নাইট কার্যকরী। আর্জেন্টাম নাইটের রোগীরা মিষ্টি বিশেষ করে চিনি পছন্দ করে, আবার সেই মিষ্টিই রোগীর রোগকে বৃদ্ধি করে।
চোখ থেকে হলুদ বা পুঁজের মতো তরল / পানি বের হয় সাথে ফোলাভাব এবং চোখের সাদা এবং ভিতরের কোণে লাল / লালচে ভাব এবং জ্বালা, এরূপ লক্ষনে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum)। রোগীর চোখ ক্লান্তময় এবং ব্যথাযুক্ত হতে পারে, আলো এবং গরমে বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা পানি, এবং তাজা বাতাসে আরাম / উপশম। আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum) রোগীদের প্রায়ই লবণ এবং মিষ্টি পছন্দ করে।
পালসেটিলা (Pulsatilla): পালসেটিলা রোগীর এলার্জির লক্ষনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘন ঘন হাঁচি; নাক লাল হয়ে যায়, চুলকানি, চোখের পাতা ফোলা, চোখ দিয়ে একটা হলুদ মতন পাতলা পানির মত বের হয়, চোখ জ্বালা করে এবং সাথে চুলকানি, মনে হয় চোখের পাতাগুলো দানা বেঁধে আছে রোগীর গরম পছন্দ নয়, গরমে বা উত্তাপে রোগ বৃদ্ধি হয় এবং তাজা বাতাসে পছন্দ এরূপ চোখের এলার্জিতে পালসেটিলা (Pulsatilla)।
সালফার (Sulphur) : চুলকানিতে ব্যবহৃত অন্যতম উত্তম হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হল সালফার। এন্টিবায়োটিক থেকে সৃষ্ট এলার্জিতে, ডাস্ট এলার্জিতে সালফার ভালো কাজ করে। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো এলার্জি অবস্থায় চোখ লাল হয়ে যায়, রাতে ও গরমে বৃদ্ধি পায়, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।
চোখ খুব লাল, জ্বালা (জ্বলন্ত), ব্যথা এবং চুলকানি সহ। চোখের সাদা অংশ লালভাব এবং রক্তাক্তের মত দেখায় এবং চোখের পানি গরম মনে হয়, লক্ষণগুলি তাপে-আলোতে চোখের সমস্যা বৃদ্ধি করে, চোখের পাতা সংকুচিত দেখাতে পারে, বিশেষ করে সকালে।
সালফারের রোগীরা স্বার্থপর টাইপের হয়, অন্যদের জন্য ভালো কামনা করেনা, খুব অলস ব্যক্তি, পরিচ্ছন্নতার প্রতি আগ্রহী নয়, পোশাকের যত্ন নেয় না, গোসল করতে ভালো লাগে না, গোসল করলে রোগ বৃদ্ধি পায়। সব সময় চর্মরোগ থাকে, চুলকাতে প্রচুর ভালো লাগে, মনের সূখে চুলকাতে থাকে, চুলকালে উপশম হয় ও আরাম লাগে কিন্তু চুলকানোর পরে প্রচুর জ্বালা করে।
রুটা (Ruta Grave): মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে বা ঢুকেছে , চোখের ভিতর ধুলোর মত বা ধুলো ঢুকে আছে বলে মনে হয়, চোখ ব্যথা ও লাল হয়ে যায় এরূপ লক্ষনে রুটা।