বিনিয়োগের নিরাপত্তা আর আকর্ষণীয় সুদ বা মুনাফার কারণে সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কাছে এখনো প্রথম পছন্দ জাতীয় সঞ্চয়পত্র। সরকার এই বিনিয়োগের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। তাই এতে একেবারেই কোনো ঝুঁকি নেই। কিন্তু মুনাফা বা সুদের হার যে কোনো ব্যাংকের চেয়ে বেশি।
সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। একটি নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করতে হয়। যে কোনো ডাকঘর ও ব্যাংক শাখা থেকে বিনামূল্যে এই ফরম পাওয়া যায়। ফরমের ফটোকপি দিয়েও আবেদন করা সম্ভব। এছাড়া জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (https://nationalsavings.portal.gov.bd) সহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে এই ফরম ডাউনলোড করা সম্ভব।
সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে গ্রাহককে আলোচিত ফরম পূরণ করতে হয়। ফরমে একজন নমিনির নাম-ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়। আবেদনপত্রের সাথে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে। আর নমিনির ছবির সত্যায়ন করতে হয় গ্রাহককে।
গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও এ ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। নমিনি নাবালক হলে লাগে জন্মনিবন্ধনের কপি। এ ছাড়া গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ।
এক লাখ টাকার বেশি অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকের ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) থাকতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে ইটিআইএনের ফটোকপি জমা দিতে হয়।