বর্ষায় ঘরের দেওয়াল বা আলমারির স্যাঁতস্যাঁতেভাব থেকেও কাপড়ে দুর্গন্ধ ও তিলা পড়ার ঝুঁকি থাকে।
বৃষ্টির দিনে কাপড় সহজে শুকায় না তাই পানি ধরে রাখে না এমন পোশাক পরাই ভালো।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র, পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান বলেন, “বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। যে কারণে কাপড় সহজে শুকায় না। দুর্গন্ধ হয় এবং তিলা পড়ে।”
“সহজেই কাপড় ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয় এবং কালসিটে দাগ দেখা দেয়”, বলেন তিনি।
বর্ষার সময় কাপড়ের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, “একটানা বৃষ্টি ও রোদের অভাবে কাপড়ে ভেজাভাব থেকে যায়। ভেজাভাব মানেই তিলা পড়া আশঙ্কা। কাপড়ে সামান্যতম ভেজাভাব থাকলেও তা ভাঁজ করে রাখা উচিত নয়।”
কাপড় সংরক্ষণের আগে ভালোমতো শুকিয়ে প্রয়োজন হলে আয়রন করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় ঘরের দেওয়াল বা আলমারিতে স্যাঁতস্যাঁতেভাব দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রেও অনেক সময় কাপড়ে দুর্গন্ধ ও তিলা পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে বলে পরামর্শ দেন, এই অধ্যাপক।
বর্ষায় পোশাক নির্বাচন
যখন তখন বৃষ্টি নামে তাই কৃত্রিম তন্তু ও ওজনে হালকা পোশাক উচিত। এগুলো সহজে পানি ঝরে শুকিয়ে যায় এবং ধোয়াও খুব সহজ।
জর্জেট, এসিটেট, রেয়ন, পলিয়েস্টার ধরনের সিন্থেটিক তন্তুর তৈরি পোশাক বিশেষ উপযোগী।
কাপড় সংরক্ষণের উপায়
বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কাপড়ে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। একটানা অনেকদিন ভাঁজ করে রাখা কাপড়ে ভেজা গন্ধও হতে পারে।
এ মৌসুমে যখনই রোদ উঠুক না কেনো কাপড়ে রোদ লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
কাপড় রাখা হয় এমন জায়গার মাঝে মধ্যে আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোনো কাপড়ই একটানা লম্বা সময় ভাঁজ করে না রেখে মাঝে মধ্যে ভাঁজ খুলে বাতাসে দিয়ে আবার তুলে রাখতে হবে।
পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আলমারি ও ড্রয়ারে ন্যাপথলিন, কালোজিরা বা তেজপাতা পুটলিতে করে পেঁচিয়ে রাখতে হবে। পুরানো হলে গেলে তা আবার বদলে নিতে হবে।