মিলিবাগ

মিলিবাগ দমনের ঘরোয়া উপায়

বারান্দায় আসলেই মন ভালো হয়ে যায় মিমের। হরেক রকম গাছ আর ফুলের সমারোহ দেখে মন খারাপ রাখার উপায় নেই। তবে আজ জবা গাছটার কাছে যেতেই মন খারাপ হয়ে গেল। কুড়ির কিনার ঘেঁষেই সাদা পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। আর এই পোকার আক্রমণ মানেই পুরো বাগান শেষ হয়ে যাওয়া।

শখের বাগান পোকার দখলে গেলে কারই বা ভালো লাগে। বাগানে তুলোর দলার মতো দেখতে মিলিবাগের হানা তাড়াতাড়ি না ঠেকালে বাহারি বাগানের রূপ এক নিমেষে তা শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু এই করে এই মিলিবাগ বা সাদা পোকা তাড়াবেন তা বুঝেন না অনেকেই। চলুন জেনে নিই মিলিবাগ তাড়ানোর ঘরোয়া কিছু উপায়-

কোথায় থাকে এসব পোকা?

সাধারণত কুঁড়ির কাছে, কিংবা যেখান থেকে পাতা বের হয়, সেখানে মিলিবাগ থাকতে পছন্দ করে। স্ত্রী মিলিবাগ পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে ৬০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে। এই পোকারা খুব সহজেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়িয়ে যায়। ফলে বাগানে নিমেষে শেষ হয়।

শুকনো মরিচ গুঁড়ো

৬ থেকে ৭ ফোঁটা সাবানজল, সঙ্গে ২ টেবিল চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো, ৩ লিটার জলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মিলিবাগে আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করুন। এছাড়াও বাড়িতে পাপরিকা পাউডার থাকলে সেই পাউডার পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিন গাছের পোকার উপর।

রসুন

বাড়িতে প্রায়ই রসুন পড়ে থাকে। কিছু রসুন পুরনো হলে বা মজে গেলে ফেলে দেন। এগুলোই পোকা তাড়াতে কাজে লাগান। কারণ রসুনের গন্ধ পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। রসুন বেটে তা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। পোকা পালাবে।

নিম তেল

গাছে কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড় ধরলে তা তাড়াতে নিম তেল খুবই কার্যকরী ফল দেয়। বোতলের পানিতে নিম তেল গুলে নিয়ে স্প্রে করলে দারুণ কাজে দেয়। গাছ থেকে চলে যায় পোকামাকড়, ছত্রাক। এই তেল না থাকলে নিম পাতা বেটেও ব্যবহার করতে পারেন।

পাতা ধুয়ে নিন

ভালো করে গাছের পাতা ধুয়ে নিন। এতে গাছে লেগে থাকা পোকামাকড় সরে যাবে। কোনও রকমের পোকা মাকড় সেখানে লেগে থাকবে না। অল্প জায়গায় মিলিবাগের আক্রমণ হলে চেষ্টা করুন সেই অংশটি কেটে ফেলে দিতে। এতে ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে না।

শেয়ার করুন: