প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ৫০০ বছরের পুরনো রাজশাহীর বাঘা শাহী মসজিদ। এই মসজিদের শিলালিপিতে আমের ঐতিহ্য বহন করছে। ১৫২৩-১২২৪ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি-৯৩০) হোসেন শাহর পুত্র নুসরাত শাহ শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন। এই শাহী মসজিদের শিলালিপিতে আমের টেরাকোটা অংকিত আছে, যা থেকে প্রমাণিত হয় বাঘার আমের সুখ্যাতি প্রাচীন আমল থেকে স্বীকৃত।
জানা যায়, রাজশাহীর ৯ উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর আমবাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। উপজেলায় উল্লেখয্গ্যে আমের মধ্যে গোপাল ভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া, তোতাপরি, ফজলি, লকনা। এই আম রপ্তানি করা হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, হংকং, ডেনমার্ক, ইতালি, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল সুলতান বলেন, ইতোমধ্যে বাঘার আম দেশে সুপরিচিতি অর্জন করেছে। ২০১৬ সাল থেকে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহায়তায় ২০১৬ সাল থেকে আম বিদেশে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার সহায়তায় গত মৌসুমে ৩৬ টন আম বিদেশে পাঠিয়েছিলাম।
চলতি মৌসুমের শুরুতে ৪ মে ঢাকার মতিঝিলের আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে হংকং ও ইতালিতে ৪৪০ কেজি আম রুপ্তানি করা হয়েছে। এ মৌসুমে ২ কোটি টাকার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৩ দশমিক ২০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।