পানি

আরও ওয়াটার পিউরিফায়ার ফিল্টারের পানি উপকারের বদলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি! দাবি গবেষণায়

আমাদের দেশে যে ধরনের পানি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, তা ‘আরও’ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে পরিশ্রুত করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে পানির অপচয় হয় বেশি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। দোকানে খাওয়ার পানি পরিশ্রুত করার যন্ত্র কিনতে গেলে সেখান থেকেও ‘আরও’ ওয়াটার পিউফায়ারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। শহরে বা গ্রামাঞ্চলেও এই ‘আরও’ পিউরিফায়ারের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। কারণ, বেশির ভাগ মানুষের ভাবেন এই ‘আরও’ বা রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতিতে পরিশোধিত পানি সব চেয়ে সুরক্ষিত এবং স্বাস্থ্যকর। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে অন্য কথা। আমাদের দেশে যে ধরনের পানি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, তা ‘আরও’ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে পরিশ্রুত করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে পানির অপচয় হয় বেশি।

‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোর’ (আইআইএসসি)-এর গবেষক সম্বুদ্ধ মিশ্র বলেন, “বেশির ভাগ সময়ে পানির মধ্যে যে অশুদ্ধি মিশে থাকে, তা হল ধাতু। তবে কোনও জীবাণু যে একেবারে থাকে না, তা নয়। কিন্তু তার জন্য রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতির সত্যিই কোনও প্রয়োজন নেই। আর সব চেয়ে বড় কথা এই পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন করলে প্রতি দশ লিটার পানি পরিশোধন করে সেখান থেকে পরিশোধিত পানি পাওয়া যায় মাত্র ৩ লিটার। আর বাকি ৭ লিটার পানির সঙ্গে আরও বেশি মাত্রায় ধাতু মিশে তা বাইরে বেরিয়ে আসে। যা পরবর্তী কালে আবার সেই ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে গিয়ে মেশে। এতে দূষণের মাত্রা দ্বিগুণ হয়।”

গবেষক সম্বুদ্ধ মিশ্র এবং তাঁর সহযোগীরা ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া অঞ্চলে এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ শুরু করেন। গবেষণা শেষে তাঁরা দেখেন, ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের পানিতে অন্যান্য ধাতু, এমনকি পারদের পরিমাণ অনেকটাই কম। সম্বুদ্ধর মতে, “এই পদ্ধতিটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর পানি পাওয়ার বদলে সেই পানি থেকে নিজের এবং পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।” এই ‘আরও’ পদ্ধতিটি পরিশ্রুত করার সময়ে পানিতে মিশে থাকা অশুদ্ধির পাশাপাশি, উপকারী প্রাকৃতিক খনিজ এবং আয়নও নষ্ট করে।

পানিবাহিত রোগ জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে পানি পরিশ্রুত করবেন কী ভাবে?

পানি পরিশোধন করার নানা পদ্ধতি রয়েছে। তবে সব চেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হল ফোটানো। আইআইটি কানপুরের বাঙালি শিক্ষক, গবেষক ইন্দ্র শেখর সেন বলেন, “পানিতে থাকা সমস্ত রকম ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে পানি ফুটিয়ে খাওয়াই ভাল।”

শেয়ার করুন: