তাম্রচূড়া

কুকুরমুতা বা তাম্রচূড়ার গুণাগুণ এবং উপকারিতা

কুকুরমুতা বা তাম্রচূড়া গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম: Blumea lacera, শ্রেণীবিহীন: Angiospermae, পরিবার: Asteraceae। আমাদের দেশে ঔষধি গুণে ভরপুর অনেক গাছপালা এবং লতাপাতা রয়েছে। এগুলো মানুষের অনেক উপকারে আসে। তাম্রচূড়া খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া একটি উদ্ভিদ। তাম্রচূড়া কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর পুরো শরীর ও পাতা এক প্রকার নরম লোমশ আবরণে ঢাকা থাকে। পাতাগুলো একটু চাপ দিলে এর থেকে নিঃসরিত রসে বেশ কটুগন্ধ বিশিষ্ট। এদের হলুদ ফুল গুচ্ছগুলো কিছুদিন পরে ছাই বর্ণ ধারণ করে এবং ফুলগুলো তুলার মত হয়ে উড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, তখন দেখলে মনে হবে যেন পাকা চুলের মাথা।

এই অবাঞ্ছিত আগাছার নাম সন্ধানে বেশ বিব্রত হতে হয়। আঞ্চলিক ভাবে একে কুকুরমুতা,কুকুরশুঙ্গ,জংলীমুলি, এই ধরনের বহু নামে ডাকা হয়ে। এমন নাম করনের পেছনে কোনো কারন আছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে তামিলনাডুতে এর চমৎকার নাম রয়েছে, আর তাহলো তাম্রচূড়া। এটিই এর সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নাম। তাম্রচূড়া একটি ঔষধি গাছ। এর অনেক গুণাবলী রয়েছে, যেমন জ্বর, মুখে ঘাসহ নানা অসুখে ব্যবহার হয়ে আসছে।
এবং এইসব ব‍্যবহার বেশ উপকারী।

তাম্রচূড়া'এর উপকারিতা সমূহ

  • এটি অনেক মহৎ একটি উদ্ভিদ। এর বহুমুখী গুণাগুণ এবং উপকারিতা রয়েছে। এই গাছ দ্বারা আমাদের কি কি উপকার হয় আজ তা বর্ণনা করা হবে। যদি কারো কোন উপকারে আসে যেমন, মুখে বিভিন্ন কারণে ব্যথা বা ঘা হয়ে থাকে তাহলে তাম্রচূড়া গাছের মূল থেঁতো করে এই রস হলকা গরম করে সেবন করলে ব্যথা ভালো হয়।
  • তাম্রচূড়া গাছের পাতা রস করে খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।
  • আমাশয় সমস্যা দেখা দিলে তাম্রচূড়া গাছের পাতা ও মূল থেঁতো করে এই রস হলকা গরম করে ছাগলের দুধের সাথে সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
  • বাতের ব্যথা হলে তাম্রচূড়া গাছের পাতা থেঁতো করে হালকা গরম করে মালিশ করলে ব্যথা কমে যায়।

 মনে রাখবেন !

এই গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। কেননা এটি অনেক উপকারী গাছ। মানব জাতির বিভিন্ন রোগের মহৌষধ। তাই সময় থাকতে সচেতন হৌন। প্রকৃতির এই অপার দান আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। এর দায়িত্ব আমাদের।

শেয়ার করুন: