উদ্ভিদ

জেনে নিন অজানা কিছু উদ্ভিদ সম্পর্কে

ভাট ফুল বা বনজুঁই, পাথরকুচি, বাসক, অর্জুন, ধুতুরা, শতমূলী, বিলিম্বি

ভাট ফুল বা বনজুঁই

কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। যাদের চর্ম রোগ রয়েছে, তারা এই ফুলের রস মালিশ করে উপকার পেয়েছেন।

পাথরকুচি

গবেষকগন বলেছেন, জ্বর ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় পাথরকুচির পাতা বেটে খেয়ে তারা উপকার পেয়েছেন। চামড়ার অ্যালার্জির জন্য, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় পাথরকুচির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।

বাসক

ঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়। শ্বাসনালীর সমস্যায় লালাগ্রন্থিকে বাসকের রস সক্রিয় করে বলে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে।

অর্জুন

এই গাছের মূল, ছাল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও ফুল ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হৃদরোগে অর্জুনের ছাল গুড়ো করে খেয়ে থাকে। হাড়ে চিড় ধরলে রসুনের সঙ্গে অর্জুনের ছাল বেটে লাগালে উপকার হয়।

ধুতুরা

এটা অনেকে অ্যাজমার জন্য ব্যবহার করতেন। পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে ধোয়া তৈরি করে সেটা শোকা হতো।তবে এই পাতার রস অনেক সময় গর্ভপাত, বা প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় বলেও ধারণা আছে।

শতমূলী

শতমূলী উচ্চমানের ফলিক এসিড ও পটাশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। এতে ফাইবার, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি রয়েছে। এটি বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ও শক্তি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

বিলিম্বি

এই ফল ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে প্রমাণিত। এর ভেতরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। চুলকানি নিরাময়, চামড়া ফাটা, যৌনরোগ চিকিৎসায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই গাছের ফল, পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

শেয়ার করুন: