বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ। বিশ্বকাপের ৩২ দল ঠিকও হয়ে গেছে। তবে কনমেবল অঞ্চলের বাছাইয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অসমাপ্ত ম্যাচটি নিয়ে জটিলতা ক্রমে বাড়ছেই। এবার ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি না খেলতে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলের মাটিতে সেই ম্যাচটি মাঠে গড়ালেও ৫ মিনিট পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রাজিলের স্থানীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থা আনভিসা এসে হস্তক্ষেপ করে ম্যাচে। জানায়, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো চেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া করোনার বিধিনিষেধ এড়াতে তথ্য গোপন করে ব্রাজিলে এসেছেন। এ কারণে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল সেদিন।
তবে এই হস্তক্ষেপে যা হয়েছে, ব্রাজিলের মাটিতে সেদিন আর্জেন্টিনার ম্যাচটি হয়নি। সেই ম্যাচের পয়েন্ট ছাড়া ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে চলে গেছে। তবে ফিফার কথা, সে ম্যাচটা আয়োজন করতেই হবে, নাহলে যে ‘শেষ’ হয় না বাছাইপর্ব! আর্জেন্টিনার এতে আপত্তি ছিল শুরু থেকেই। ব্রাজিলের মাটিতে যেহেতু ম্যাচটা ছিল, আর স্থানীয় হস্তক্ষেপে যেহেতু ম্যাচটা শেষ হয়েছিল, সে কারণে পূর্ণ তিন পয়েন্ট দাবি ছিল তাদের, জানাচ্ছিল টিএনটি স্পোর্টস।
তবে ফিফা গেল মাসে জানায়, ম্যাচটা খেলতেই হবে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সাও পাওলোয় হওয়ার কথা ম্যাচটি। সেই ম্যাচটা খেলার কোনো ইচ্ছাই আর্জেন্টিনার নেই। সে কারণে এবার সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অফ স্পোর্টসের কাছে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। চাওয়া একটাই, ফিফার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে তিন পয়েন্ট তাদের দেওয়া। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই বিষয়ে রায় জানা যাবে বলে আশা করছেন দেশটির ফুটবল কর্তারা।
সেই ম্যাচটা হলে তা একটা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচই হবে। আর তাতে সব ধরনের শাস্তিই প্রভাব রাখবে বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে কেউ লাল কার্ড দেখলে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলা হবে না সেই খেলোয়াড়ের। সেই ভয় থেকেই মূলত ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে চাইছে না আর্জেন্টিনা।
শুরুতে ব্রাজিলেরও কিছুটা অনিচ্ছা ছিল ম্যাচটার প্রতি। তবে এরপর কোচ তিতে চাইছিলেন ম্যাচটা যেন দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে কোথাও আয়োজন করা হয়। তবে ব্রাজিলের দুই চাওয়ার একটিও পূরণ হয়নি। এখন সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে আর্জেন্টিনার চাওয়া পূরণ হয় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।