উদ্ভিদের জন্য মাটি কেন প্রয়োজন? অবশ্যই পুষ্টি উপাদানের জন্য। উদ্ভিদ তার জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রায় সবটাই মাটি থেকে নিয়ে থাকে। কিসের সাহায্যে এসব দ্রব্যাদি শোষণ করে? অবশ্যই মূলের সাহায্যে। অনেক ধরনের পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ দেখা যায় যা অন্য একটা গাছের উপর হয়ে আছে। এরা পুষ্টি নিয়ে থাকে তার আশ্রয়দাতা গাছের কাছ থেকে মূলের মাধ্যমে, সাথে সাথে বাতাস থেকেও বেশ কিছু নিয়ে নিতে পারে।
এয়ার প্ল্যান্ট বা বাতাস গাছ
এবার আসা যাক এয়ার প্ল্যান্ট বা বাতাস গাছ প্রসঙ্গে। ব্রোমেলিয়াস পরিবারের টিল্যান্ডসিয়া গণের প্রায় ৬৫০টি জাত বায়ু উদ্ভিদ নামে পরিচিত। এয়ার প্ল্যান্ট বা বাতাস গাছের মূল কিন্তু তার পুষ্টি দ্রব্য শোষণের জন্য নয়, মূলত কোন একটা বস্তুর সাথে আটকে থাকার জন্য। তাহলে কি বেঁচে থাকার জন্য এদের পুষ্টি দ্রব্যের প্রয়োজন নেই। অবশ্যই আছে। আর সেগুলো নিয়ে থাকে তার বিশেষভাবে তৈরি পাতার সাহায্যে।
একটু কাছাকাছি থেকে ছবি নিলেই দেখতে পাবেন ওদের পাতায় ছোট ছোট চুলের মতো গঠন, এগুলোর নাম ট্রাইকোম। ট্রাইকোমগুলোই মূলত বাতাস থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিয়ে নেয়। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বায়ু উদ্ভিদগুলো এভাবেই বেঁচে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছি মাটির কোন প্রয়োজন পড়ছে না। আর পানি? বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই ওদেরও পানির প্রয়োজন। সচরাচর বাতাস থেকে পাওয়া জলীয় বাষ্প থেকেই পানির চাহিদা পূরণ করে ফেলে।
- পর্যাপ্ত আলো যাতে পায় খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের মধ্যে রাখলে জানালার কাছাকাছি রাখা প্রয়োজন।
- মাটি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। কাচের পাত্র কিংবা যে কোন পাত্রই ব্যবহার করা যায়, শামুকের খোলস পর্যন্ত ব্যবহার করেন অনেকে।
- গাছের কন্ডিশন বুঝে কিছুদিন পর পর পানি স্প্রে করতে হবে। যদিও পরিবেশের আর্দ্রতা ৫০-৭০% এর মধ্যে থাকলে খুব একটা দরকার পড়ে না বললেই চলে।
- সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। বাতাস থেকেই যাবতীয় চাহিদা মিটিয়ে ফেলে। অনেকেই মাসে একবার খুব সামান্য পরিমাণে পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করে দিতে পরামর্শ দেন।