ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ফুলের দেখা মিললেও ফুলগুলোর কদরে কোথাও কোনো ভিন্নতা নেই। ফুলের প্রশংসা করতেও পিছিয়ে নেই পৃথিবীর কোনো প্রান্তের মানুষ। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু ফুল আছে, যেগুলো অন্য সব ফুলের চেয়ে অনেকটা আলাদা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এসব ফুলের ভিন্নতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সৌন্দর্যের বিবেচনায় এরা বাকি ফুলের চেয়ে পিছিয়েই রয়েছে। এ রকমই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের একটি ফুলের নাম র্যাফলেশিয়া। ১৮১৮ সালে জাভার রেইনফরেস্টে প্রথম বিশাল ও অদ্ভুত এ ফুল দেখতে পান ইন্দোনেশিয়ার একজন গাইড। সে সময় তিনি ড. জোসেফ আরনল্ডের তত্ত্বাবধানে একটি অভিযান পরিচালনা করছিলেন। পরে তাঁরা তাঁদের দলের নেতা স্যার থমাস স্ট্যামফোর্ড র্যাফেলসের নামানুসারে ফুলটির নাম রাখেন র্যাফলেশিয়া। বিরল এ ফুল ফুটতে প্রয়োজন হয় বিশেষ ধরনের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার। কুঁড়ি থেকে ফুল হতে র্যাফলেশিয়া সাত থেকে ৯ মাস পর্যন্ত সময় নেয়। এ দীর্ঘ সময় পর ফুটে ফুলটির জীবনকাল হয় মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন।
ফুলটি যখন পরিপূর্ণভাবে ফোটে, তখন এর আশপাশের এলাকা পচা মাংসের মতো তীব্র দুর্গন্ধে ভরে ওঠে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ফুলটির ২৮টি প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন। এসব প্রজাতির সবই পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ফুলটির কোনো কোনো প্রজাতির ব্যাস হতে পারে ১০০ সেন্টিমিটারের বেশি এবং ওজনে প্রায় ১০ কেজি পর্যন্ত। ফুলটির কোনো কাণ্ড, পাতা বা শিকড় নেই। এর পাঁচটি বড় পাপড়ি থাকে। র্যাফলেশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে কষ ও কার্বোলিক এসিড থাকলেও থাইল্যান্ডের কিছু মানুষ এ ফুলের রসকে এনার্জি ড্রিংক হিসেবে ব্যবহার করে, যা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর।