রাজনীতিবিদ

হাসপাতালে কেমন আছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদরা

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পাঁচ সিনিয়র নেতা। তাদের কেউ নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। কারও কারও শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। কেউ কেউ প্রহর গুনছেন কখন হাসপাতাল ছাড়বেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বর্তমানে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বর্তমানে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

থেরাপি চলছে তোফায়েল আহমেদেরঃ গত ২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে প্রথমে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দিল্লির মেদান্ত মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে। নিয়মিত তাকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আরও কয়েক মাস তোফায়েল আহমেদকে দিল্লি থাকতে হবে।

তোফায়েল আহমেদের চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন ভোলা- ২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজম। তিনি বলেন, গত ৮ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমি দিল্লিতে ছিলাম। উনার অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে থেরাপি চলছে।

তিনি আরও বলেন, আজও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। মোটামুটি সুস্থ আছেন। হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে তা বাংলাদেশের চেয়ে সেখানে ভালো। তাই আমরাই তাকে সেখানে রেখে দিয়েছি। আরও এক-দুই মাস তোফায়েল ভাইকে সেখানেই থাকতে হবে।

ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় রওশন এরশাদঃ জাপা সূত্রে জানা যায়, গত ৪০ দিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ। ১৪ আগস্ট তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু জটিলতায় ভুগছেন এ রাজনীতিবিদ।

জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। পরিবারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার চিকিৎসার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

শারীরিক জটিলতায় গলব্লাডারের অপারেশন হয়নি কাদের সিদ্দিকীরঃ গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তার গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। তিনি অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আলমের অধীনে চিকিৎসাধীন।

বর্তমানে কাদের সিদ্দিকীর অবস্থা কিছুটা ভালো বলে জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী। তিনি বলেন, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে অপারেশন করতে চিকিৎসকরা সময় নিচ্ছেন। তার সুস্থতার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

এখনও আইসিইউতে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুঃ জাপা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

খন্দকার দেলোয়ার জালালী বলেন, জিয়াউদ্দিন বাবলুর অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এখনও তিনি আইসিইউতে আছেন। শ্বাসকষ্টসহ বেশকিছু জটিলতা আছে উনার।

স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন খন্দকার মাহবুব হোসেনঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ আগস্ট থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ সেপ্টেম্বর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সকালে উনার মিসেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এখন অবস্থা ভালো। মোটামুটি সুস্থ আছেন। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন। আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।

শেয়ার করুন: