টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করে খোলা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়

এসময়ের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার জন্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। নিবন্ধন সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা টিকাগ্রহণের পর সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বরের পরে যে কোনও সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিপরীতে শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবলিংকে প্রবেশ করে জন্ম সনদ নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পুরণ করে শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। ইউজিসির এই লিংক সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও শিক্ষার্থী নিবন্ধন লিংক পাওয়া যাবে।

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি আছে অথচ টিকা নেননি তারা ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করে টিকা নেবেন। আর যেসব শিক্ষার্থীদের এনআইডি নেই তারা জন্মসনদ ব্যবহার করে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবলিংকে প্রবেশ করে শিক্ষার্থী নিবন্ধন সম্পন্ন করে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। অন্যদিকে, যাদের জন্মসনদও নেই তারা আগের জন্মসনদ করে নিয়ে তারপর শিক্ষার্থী নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। শিক্ষার্থী নিবন্ধনের পর সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করে টিকা নিতে হবে।

যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হয় সে ক্ষেত্রেও জন্মসনদ ব্যবহার করে শিক্ষার্থী নিবন্ধন সম্পন্ন করে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন।

টিকার নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দেওয়া সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কারিগরি সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কারিগরি কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এর আগে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসিতে টিকা সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেড় বছর পর রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়। পরদিন সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) খুলেছে মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল ও নার্সিং সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও।