গাজর
গাজর

গাজরের জুসের উপকারিতা

গাজরের উপকারিতার কথা এককথায় বলে শেষ করা যাবে না। চোখের জ্যাতি বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে গাজর। সালাদ হিসেবে, রান্নায়, সবজি হিসেবে গাজর ব্যবহৃত হয় অনেক। প্রতিদিন যদি এক গ্লাস গাজরের জুস পান করতে পারেন, তাহলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

ভিটামিনের জোগান: ভিটামিন এ-এর অন্যতম উৎস হলো গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যার সমাধান করে গাজর।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহায়ক: গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: হজমের পর খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদের শরীরে থেকে যায়। যাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এ ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন কম হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে গাজরের জুস। গাজরের জুস হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

হৃদয়ের সুরক্ষায়: হার্টকে সুস্থ রাখতে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম রাখা ও পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ‍সুস্থ থাকে হার্ট।

উজ্জ্বল ত্বক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে সতেজ রাখে, সেই সঙ্গে ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।

কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস অনেক উপকারী। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালোরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে গাজর। গাজর খেলে ফ্যাট বার্ন হয় সহজেই। ফলে ওজন কমে। তাই শরীরচর্চার পর বা সকালে হাঁটার পর এই জুস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

যেভাবে বানাবেন গাজরের জুস: গাজর ছোট টুকরো করে কেটে হালকা সিদ্ধ করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, পরিমাণমতো লবণ, চিনি আর এক চামচ লেবুর রস, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। জুস তৈরির ৩০ মিনিটের মধ্যে অবশ্য তা পান করতে হবে।

শেয়ার করুন: