কোন ব্যক্তি সংক্রামক রোগ থেকে রেহাই পেতে পারে কেবল তারই ইমিউন সিস্টেম দ্বারা তৈরি ওই নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে। শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয় ন্যাচারাল ইনফেকশন এবং টিকা গ্রহণের মাধ্যমে। কিন্তু ন্যাচারাল ইনফেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি করে সুরক্ষা পেতে চায় না কেউ। কারণ এভাবে অ্যান্টিবডি পেতে গেলে অনেক জীবন ক্ষয় হয়ে যাবে। তাই অ্যান্টিবডি তৈরির কাজটি ভ্যাকসিন বা টিকা দিয়ে ইমিউন সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে পেতে চায় মানুষ।
কারণ: ন্যাচারাল ইনফেকশনের মাধ্যমে আমরা যে অ্যান্টিবডি পাই তা সবার ক্ষেত্রে সব সময় এক রকম হবে না। ন্যাচারাল ইনফেকশন আবার উপসর্গহীন ও উপসর্গযুক্ত ইনফেকশন—এই দুই অবস্থায়ই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যারা খুব বেশি বয়স্ক, কো-মর্বিড এবং কোনো না কোনো কারণে ইমিউনিটিও দুর্বল, তাদের অ্যান্টিবডি কম তৈরি হবে।
ইনফেকশন যত মারাত্মক হবে, তত বেশি কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। আর যত কম বা মাইল্ড ফরমে বা উপসর্গহীন ইনফেকশন হবে, তত কম অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। তবে এখানেও শর্ত একটিই আর তা হলো বডি ইমিউন সিস্টেম ঠিক থাকা। এ জন্যই অ্যান্টিবডি টেস্ট করে যদি কারো মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়াও যায়, তবু টিকা নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে এই টিকা ওই ব্যক্তির জন্য বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করবে। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় ন্যাচারাল ইনফেকশনের মাধ্যমে তৈরি করা অ্যান্টিবডি ছয় থেকে আট মাসের বেশি স্থায়ী হয় না।
এ জন্যই ন্যাচারাল ইনফেকশন একবার হলে কম অ্যান্টিবডি থাকা বা একেবারেই না থাকার কারণে প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তিই আবার করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে স্বল্পমাত্রায় অ্যান্টিবডি থাকলেও কিছু না কিছু সুরক্ষা মিলবে। আমরা যে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাই, তা দুই রকম। একটি হলো কোয়ালিটেটিভ টেস্ট, যার মাধ্যমে শুধু অ্যান্টিবডি আছে কি না, তা জানা যায়। কিন্তু কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা জানা যায় কোয়ান্টিটেটিভ টেস্টের মাধ্যমে। সেটি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে সম্ভব নয়, প্রয়োজন ELISA সিস্টেম প্রয়োগের।
টিকার পরও করোনায় আক্রান্ত কেন? শরীরের ইমিউন সেলকে ব্যবহার করে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করে রাখে টিকা, যাতে ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ হলো, পৃথিবীর কোনো টিকাই কোনো নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয় না। আর কোনো টিকা শতভাগ কার্যকরও নয়।
যেমন—ফাইজার-বায়োএনটেক বলছে, তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এর মানে হলো, ফাইজার কম্পানি তাদের টিকা বাজারে নিয়ে আসার আগে নিয়মানুযায়ী প্রথমে প্রাণী, এরপর মানুষের ওপর ট্রায়াল চালিয়েছে। কমপক্ষে তিনটি ফেজে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালে শেষ ফেজে অন্তর্ভুক্ত লোকদের দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন হওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক ছাড়া নির্দিষ্ট কিছুদিন চলাচল করার সুযোগ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় ফাইজার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখেছে, এভাবে ছেড়ে দেওয়ায় তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৫ শতাংশের মধ্যে কোনো ধরনের করোনা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়নি। বাকি ৫ শতাংশ লোকের যেকোনো সময় করোনা হতে পারে; কিন্তু তা মারাত্মক হবে না।
তবে এখানেও কথা আছে। যাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তিনি যদি মারাত্মক কো-মর্বিড রোগী হন অর্থাৎ ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ স্টেজ-৫-এর রোগী হন বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তাহলে হয়তো বা তাঁর অ্যান্টিবডি পুরোপুরি তৈরি হয়নি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়ার কারণে। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীরা পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হবেন শুধু তা-ই নয়, বরং তাঁরা আক্রান্ত হয়ে মারাও যেতে পারেন।
ভ্যাকসিন ফেইলিওর প্রসঙ্গ: ভ্যাকসিন ফেইলিওর নামে একটি কথা চালু আছে। কারো শরীরের ইমিউন সিস্টেম যদি টিকা প্রদানের পরও পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে না পারে অথবা পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করার পর খুব অল্প সময়ে অ্যান্টিবডি লেভেল নেমে যায়, তা-ই ভ্যাকসিন ফেইলিওর।
টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়ার কারণে এই ভ্যাকসিন ফেইলিওর হতে পারে বা টিকার নিজস্ব মানগত সমস্যা, যেমন—কোল্ড চেইন রক্ষা করতে না পারা, কম ডোজ দেওয়া ইত্যাদি কারণেও হতে পারে। এই ভ্যাকসিন ফেইলিওর দুই ধরনের। যেমন—
প্রাইমারি ভ্যাকসিন ফেইলিওর: ফুল ডোজ (সাধারণত দুই ডোজ) বা প্রাইমারি ভ্যাকসিনেশনের পরও যদি কোনো ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে না পারে, তাহলে তা প্রাইমারি ভ্যাকসিনেশন ফেইলিওর। এখানে টিকাগ্রহীতা বা টিকা নিজে—এই দুই পক্ষের যেকোনো এক পক্ষ বা দুই পক্ষও দায়ী হতে পারে।
সেকেন্ডারি ভ্যাকসিন ফেইলিওর: দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর যে সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ টাইটার অ্যান্টিবডি তৈরি হাওয়ার কথা, তা যদি না হয় বা পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর দ্রুত অ্যান্টিবডি টাইটার নেমে যায়, তাকে সেকেন্ডারি ভ্যাকসিন ফেইলিওর বলে। সে ক্ষেত্রে এই ত্রুটি ভ্যাকসিনের না-ও হতে পারে, বরং টিকা দেওয়ার পরও মৃত্যুর জন্য দায়ী দুর্বল ইমিউন সিস্টেম হতে পারে। তাই টিকা নিলেই শতভাগ সুরক্ষিত মনে করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়।
টিকার সফলতা-ব্যর্থতার কারণ: টিকার সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করে দুটি ফ্যাক্টরের ওপর। একটি হলো, যাকে টিকা দেওয়া হয় তার নিজস্ব কারণে। অর্থাৎ ব্যক্তি বা হোস্ট ফ্যাক্টর। দ্বিতীয়টি হলো টিকা নিজে।
বয়স: সব বয়সে সব টিকা সমানভাবে কার্যকর নয়। জন্মের পরই খুব কম ওজনসম্পন্ন শিশুর অ্যান্টিবডি রেসপন্স কম ওজনসম্পন্ন শিশুর চেয়ে কম। যেমন—এক থেকে ৩০ দিন বয়সী নবজাতকের অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা কম থাকে। এ সময় তারা সাধারণত মায়েদের দিক থেকে জন্মগতভাবেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি পেয়ে থাকে। ফলে এ সময়ে সংশ্লিষ্ট টিকা দিলে টিকার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য হামের টিকা ৯ মাস বয়স থেকে দেওয়া উত্তম। অতিশয় বৃদ্ধ বয়সে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকার কারণে অ্যান্টিবডি রেসপন্স কম হয়।
লিঙ্গ: কোনো কোনো টিকায় নারীর আবার কোনো কোনো টিকায় পুরুষদের বেশি রেসপন্স করে। যেমন—ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস-এ ও হেপাটাইটিস-বি টিকায় নারীদের অ্যান্টিবডি প্রডাকশন রেসপন্স ভালো। অন্যদিকে টিটেনাস ও হামের টিকার ক্ষেত্রে পুরুষদের অ্যান্টিবডি রেসপন্স ভালো।
জেনেটিক মেকআপ: বিভিন্ন জেনেটিক মেকআপের কারণে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গ্রুপ অ্যান্টিবডি তৈরিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
কো-মর্বিডিটি: ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, এইচআইভি ইত্যাদি ধরনের রোগে কম অ্যান্টিবডি তৈরি হয় অথবা হয়ই না। ফলে টিকা দিলেও আক্রান্ত হতে পারে।
কো-ইনফেক্টিভিটি: অন্য রোগজীবাণু দ্বারা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হলে, যেমন—ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি এবং অনেক বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ও ইমিউনোসাপ্রেসিভ ড্রাগ ব্যবহার করা অবস্থায় থাকলে অ্যান্টিবডি রেসপন্স কমে যেতে পারে।
ইমিউনোসাপ্রেসিভ ড্রাগ: অতিরিক্ত মাত্রার স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও অন্যান্য ইমিউনোসাপ্রেসিভ ব্যবহারে অ্যান্টিবডি রেসপন্স কমে যায়।
ইমিউন সিস্টেম: যার ইমিউন সিস্টেম ভালো বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী অথবা স্বাভাবিক ইমিউন সিস্টেমের অধিকারী একজন ব্যক্তি যত মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবে, সংশ্লিষ্ট টিকায় তার তত অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
রোগ থেকে সেরে ওঠা: এর আগে আক্রান্ত হয়ে একটি সংক্রামক রোগ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির ওই একই রোগের টিকা তার জন্য অনেক বেশি কার্যকর ও স্থায়ী।
অভ্যাসগত বিষয়: মাঝারি ধরনের শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন পরিচালনা, পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ততা ইত্যাদিতে অ্যান্টিবডি রেসপন্স ভালো থাকে।
অধূমপায়ী: গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীর হেপাটাইটিস-বি, মদ্যপ ব্যক্তির নিউমোকক্কাল টিকায় কম কার্যকারিতা দেখায়।
নিউট্রিশনাল স্টেটাস ও এক্সপোজার এক্সপেরিয়েন্স ফ্যাক্টর: পুষ্টিহীন শিশুদের হাম, টিটেনাস, ওপিভি, হেপাটাইটিস-বি টিকায় কম রেসপন্স দেখায়। এ ছাড়া তাদের অন্যান্য ইমিউনিটি রেসপন্স অনেক কম থাকে। এ জন্যই খুব বেশি পুষ্টিহীন শিশুদের যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে বিসিজি টিকা, এমনকি ম্যান্টক্স টেস্ট করা হয় না। গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সপোজার এক্সপেরিয়েন্সের পরিবেশে বেড়ে ওঠা স্বাভাবিক শিশু ও বড়রা অন্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশু ও বড়দের চেয়ে অ্যান্টিবডি রেসপন্স ভালো দেখায়।
জিওগ্রাফিক্যাল ফ্যাক্টর: উন্নয়নশীল বিশ্বের শিশুরা ডিপথেরিয়া, পারটোসিস টিকা এবং উন্নত বিশ্বের শিশুর হাম, যক্ষ্মার জন্য বিসিজি, পলিওর জন্য ওপিভি টিকায় ভালো রেসপন্স দেখায়।
টিকার কিছু স্বাভবিক ফ্যাক্টর: ► রোগজীবাণুর কোন অংশ দিয়ে টিকা তৈরি হবে সেটি এবং অ্যাডজুভ্যান্টের ব্যবহার টিকার কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। ► ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার কোন অবস্থার ওপর টিকা তৈরি হবে, যেমন—এটি কি লাইভ এটেনিউয়েটেড ভ্যাকসিন, কিল্ড ভ্যাকসিন, প্রোটিন ভ্যাকসিন, সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন, নাকি জেনেটিক কোড ভ্যাকসিন ইত্যাদির ওপরও টিকার কার্যকারিতা নির্ভর করে।
►সাধারণত লাইভ ভ্যাকসিন বেশি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী, যার একটি ডোজেও কাজ হয়। কিন্তু কিল্ড ভ্যাকসিন কম শক্তিশালী এবং স্বল্পস্থায়ী, যাতে দুই ডোজ, এমনকি বুস্টার ডোজও লাগে। ► একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দুই ডোজের মাঝের গ্যাপ যত বেশি, টিকার কার্যকারিতা তত বেশি।
► কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঊরুতে এবং ডেল্টয়েড মাংসে দেওয়ার ওপর কার্যকারিতা নির্ভর করে। মাংসে দেওয়া ভ্যাকসিন টি-সেল মেডিয়েটেড, ইমিউন রেসপন্স করে। আবার চামড়ার নিচে দেওয়া ভ্যাকসিন ডেন্ড্রাইটিক মেডিয়েটেড ইমিউন রেসপন্স করে। ► ইনজেকটেবল, না ওরাল—এর ওপরও টিকার কার্যকারিতা নির্ভর করে। যেমন ওরাল পলিও টিকা (ওভিপি) ২৭ লাখের মধ্য থেকে একজনের মধ্যে হলেও ভ্যাকসিন অ্যাসোসিয়েটেড প্যারালাইটিক পলিও (ভিএপিপি) করতে পারে। কিন্তু ইনজেকটেবল পলিও ভ্যাকসিন টিকা দিয়ে তা হয় না। তা ছাড়া খুব কমসংখ্যক ক্ষেত্রে ওপিভি, জেনেটিক্যালি এর পরিবর্তন এনে সারকুলেটিং ভ্যাকসিন ডেরাইভড পলিও ভাইরাসে (সিভিডিপিভি) রূপ নিতে পারে; কিন্তু আইপিভিতে তা হয় না।
► টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই ডোজনির্ভর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কমপক্ষে দুই ডোজ, এমনকি কার্যকারিতা সব সময় অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে নির্দিষ্ট ব্যবধানে বুস্টার ডোজও দিতে হয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে দুই ডোজ দেওয়ার পরও বছর বছর বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। ► সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও কোল্ড চেইন রক্ষিত না হলে অ্যান্টিবডি রেসপন্স কম হবে।
► টিকা উৎপাদনে ব্যবহৃত সক্রিয় ও অসক্রিয় ইনগ্রেডিয়েন্ট, যেমন—অ্যান্টিজেন, অ্যাডজুভ্যান্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, স্টাবিলাইজার, প্রিজারভেটিভস ইত্যাদি ব্যবহারে সঠিক মাত্রার ওপর অ্যান্টিবডি রেসপন্স নির্ভর করে। যেমন টিকা তৈরিতে অ্যাডজুভ্যান্ট ব্যবহার ইমিউন রেসপন্স বাড়িয়ে দেয়। ► টিকা উৎপাদনে পদ্ধতিগত সমস্যা থাকলেও রেসপন্স কম হবে।
লেখক: ডা. মো. তৌহিদ হোসাইন, বিভাগীয় প্রধান, হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি, শেরেবাংলানগর, ঢাকা