সুস্থ থাকার জন্য শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। কারণ আমাদের শরীরে পানির অভাব হলে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন দিনে অন্তত তিন-চার লিটার পানি পান করার। এতে শরীর ভেতর থেকে সতেজ থাকবে, ক্লান্তি আসবে না সহজে।
এদিকে শুধু পানি পান করা অনেকের কাছেই একঘেয়ে লাগতে পারে। তবে শরীর আর্দ্র রাখাও জরুরি। এমন অবস্থায় করণীয় কী? এমন কোনো খাবার কি আছে যা শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে? শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে খেতে পারেন এই খাবারগুলো-
নিয়মিত দুধ পান করুন: নিয়মিত দুধ পান করার উপকারিতা অনেক। এক গবেষণায় দেখা যায়, দিনে বারবার পানি পানের চেয়েও একবার দুধ পান করা বেশি জরুরি। কারণ দুধের তরল অংশটি শরীরের মধ্যে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। পানি এত সময় ধরে থাকতে পারে না। তাই পানি পানের পাশাপাশি প্রতিদিন একগ্লাস দুধ পান করুন। এতে শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
প্রতিদিন একটি আপেল: শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে আপেল। আপেলের প্রায় ৮৫ শতাংশই পানি। শুধু তাই নয়, আপেল খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে শরীর দীর্ঘ সময় আর্দ্র থাকে। পানির অভাব না হওয়াতে শরীরে ক্লান্তি আসে না সহজে। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি আপেল খান।
ডাবের পানি খাবেন যে কারণে: পানি পানের পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখবেন ডাবের পানিও। কারণ এতে থাকে প্রচুর সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। শরীরে যদি অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দেয় তবে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এটা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। তাই ডাবের পানি পান করলে শরীর থাকবে আর্দ্র।
পাতে থাকুক দই: দই একটি প্রোবায়োটিক খাবার। প্রতিদিন একবাটি দই খেলে তা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে অনেকটাই। এতে প্রায় ৮৫ শতাংশ পানি পাওয়া যায়। দই প্রোটিন ও ইলেকট্রোলাইটসের দারুণ উৎস, যা হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই দই খান নিয়মিত। এক্ষেত্রে মিষ্টি দইয়ের থেকেও টক দই বেশি উপকারী।
শসা যে কারণে উপকারী: শসার প্রায় পুরোটাই পানি। এতে থাকে ৯৬ শতাংশ পানি। তাই গলা শুকিয়ে গেলে পানি পানের বদলে শসা খেলেও স্বস্তি মেলে। নিয়মিত শসা খেলে তা শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। পাশাপাশি এটি কিডনিতে পাথর, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরে রাখে। তাই নিয়মিত শসা খান।