বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে গুম হওয়া ৩৪ জন ব্যক্তির অবস্থান ও ভাগ্য জানতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের পাঠানো চিঠির মাধ্যমে বিএনপির দাবিই সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে এ পত্র প্রেরণে গুমের বিষয়ে বিএনপির দাবির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। প্রকৃতপক্ষে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। সরকার তাদের খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানায় বিএনপি।
তিনি জানান, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছাপানো বন্ধ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থায়ী কমিটি। সভায় ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল নেটওয়ার্ক টেলিটক লাইফ সাপোর্টে আছে’ বলে পরিকল্পনামন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ও সিটি করপোরেশনগুলোর ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব জানান, স্থায়ী কমিটির সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে জড়িত করার হীন প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়া আগামী ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় স্থায়ী কমিটিতে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।