মুখে বা শরীরের অন্যান্য অংশে আঁচিল হতে পারে। এটি মূলত এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামণ। আঁচিল দেখতে কিছুটা ফোসকার মতো হয়। মুখে উঠলে স্বাভাবিকভাবেই এটি সৌন্দর্য নষ্ট করে। এটি অনেকটা তিলের মতোই দীর্ঘস্থায়ী হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অনেকে আঁচিল দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে তাতে যে সব সময় উপকার মেলে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় দেখা দিতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এর বদলে প্রাকৃতিক উপায়ে আঁচিল দূর করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কলার খোসা ব্যবহার: কলা খাওয়ার পর খোসার জায়গা হয় ডাস্টবিনে। কারণ যেখানে-সেখানে ফেললে তাতে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু এই কলার খোসাও লাগতে পারে আঁচিল দূর করার কাজে। সেজন্য খোসার ভেতরের অংশ বের করে ভালোভাবে চটকে নিতে হবে। এরপর ঘুমের আগে আঁচিলের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। রাতে ওভাবেই ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানিতে আঁচিলের স্থান ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় থাকে পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যে কারণে এটি ব্যবহার করলে আঁচিল দূর করা সহজ হয়।
আঁচিল দূর করতে রসুনের ব্যবহার: সবার ঘরেই থাকে এই উপকারী ভেষজ। রসুনের অনেকগুলো গুণের মধ্যে একটি হলো, এটি আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমে রসুনের কয়েকটি কোয়া নিয়ে কুচি করে নিন। এবার সেগুলো দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্ট আঁচিলের উপরে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট বেশিক্ষণ ত্বকে না রাখাই ভালো।
পেঁয়াজের রসের ব্যবহার: চুল সুন্দর রাখতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহারের কথা অনেকেই জানেন। এটি কিন্তু আঁচিল দূর করতেও কার্যকরী। প্রথমে পেঁয়াজ কুচি করে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে সারাদিন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি আঁচিলের স্থানে ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে আঁচিলের স্থান ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে প্রতিরাতে ব্যবহার করলে আঁচিল দূর হতে সময় লাগবে না।
আঁচিল দূর করবে অ্যালোভেরা জেল: ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য উপকারী অ্যালোভেরা জেল। এটি আঁচিল দূর করার ক্ষেত্রেও সমান কার্যকরী। অল্প অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আঁচিলের উপর লাগিয়ে নিন। অপেক্ষা করুন শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন তিনবার এভাবে ব্যবহার করুন। দ্রুতই উপকার পাবেন।