লজ্জাবতী

লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুণ!

লজ্জাবতী (sensitive plant, touch-me-not)। এটি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mimosa pudica। সংস্কৃতি নাম লজ্জালু। অন্যান্য নাম লজ্জাবতী, লজ্জাবতী লতা,লজাক। গাছগুলোর কাণ্ড সর্বোচ্চ ৫ ফুট পর্যন্ত দেখা যায়। এটি ভূমি সংলগ্ন হয়ে অবনতভাবে বৃদ্ধি পায়।

এর কাণ্ড কাষ্ঠাল, কণ্টকযুক্ত এবং গোলকার। কাণ্ডের গাত্র লোমাবৃত। এর পাতা দ্বিপক্ষল যৌগিক। এর পাতা ছোঁয়া মাত্র বন্ধ হয়ে যায়।কয়েক মিনিট পরে গাছের পাতা আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। তাপের প্রভাবে, বা সন্ধ্যা বেলাতেও পাতা বন্ধ হয়ে যায়।

মূলত সিসমোন্যাস্টিক চলন(Seismonastic Movement)-এর প্রভাবেই এর পাতা বন্ধ হয়ে যায়। থোকায় থোকায় ফুল ফোটে। এর ফলগুলো চ্যাপ্টা, বাঁকা-লম্বাটে।এর পাতা এক থেকে দু ইঞ্চি হয়ে থাকে।

বছরের প্রায় সবসময়ই এই গাছে ফুল হয় এবং তা থেকে ফল হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মাঠে ঘাটে প্রচুর জন্মে। এছাড়া আমেরিকা মহাদেশে এই গাছ দেখা যায়। এর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে, তবে বর্তমানে বিশ্বের সব জায়গায় এটি ছড়িয়ে পরেছে।

লজ্জাবতীর রাসায়নিক উপাদান: লজ্জাবতী গাছের মূলসহ সমস্ত লতাপাতা ঔষধরূপে ব্যবহৃত হয়। কারন এতে একধরনের আ্যাসিটাইলিন কোলিন রয়েছ। যা শরীরের জন্যে অনেক উপকারী।

উপকারিতা: ১। রক্তপিও হলে লজ্জাবতীর রস খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। ২। মারিতে ক্ষত দেখা দিলে লজ্জাবতীর পাতা সেদ্ধ করুন। এবার এই পানি মুখে নিয়ে কুল কুচি করতে থাকুন। এইভাবে করলে কয়েক দিনের মধ্যে উপকার পাবেন।

৩। যাদের পাইলস এর সমস্যা রয়েছে তারা লজ্জাবতীর পাতা সেদ্ধ করে দুধের সাথে সকাল বিকেল খেলে উপকার পাওয়া যায়। ৪। অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং জামায় বা গেঞ্জিতে হলদে দাগ লাগে, এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগলে ও শরীর লাগাতে হবে। তাহলে সমস্যা সমাধান হবে।

শেয়ার করুন: