অশোক

অশোক গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুণ

অশোক (Ashoka) এর বৈজ্ঞানিক নাম Saraca indica Linn। এটি Caesalpiniaceae পরিবারের অন্তভূক্ত। আশোক অসংখ্য শাখাবিশিষ্ট ছায়াতরু অশোক ফুলের গাছের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ ফুটের মত হয়ে থাকে। এর পাতা কচি অবস্থায় তাম্রবর্ণ থাকে পরিণতিতে সবুজ। পাতা লম্বা ধরনের এবং তাতে ৫-৬ জোড়া পাতা থাকে। এর শুঁটি বেশ লম্বা ও চওড়া ২ ইঞ্চির মত।জুন-জুলাই মাসে এই গাছের ফল পাকে।

ফল থেকে বীজ সংগ্রহের পর তা রৌদ্রে শুকিয়ে বীজ তলায় বাঁ পলিব্যাগে লাগানো যায়। এর বীজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। বীজ বপনের পূর্বে ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয়। অঙ্কুরিত চারার বয়স ১-২ বৎসর হলে তা রোপন করতে হয়। বর্ষাকাল চারা রোপনের উৎকৃষ্ট সময়। এটি বাংলাদেশ সহ চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রামে পাওয়া যায়। সিলেটের বনাঞ্চলেও জন্মে।

রাসায়নিক উপাদান: ছালে প্রচুর পরিমান ট্যানিন, হিমাটক্সাইলিন ও খনিজদ্রব্য বিদ্যমান। এছাড়াও এতে কিটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন বিদ্যমান।

উপকারিতা: ১। অশোক ছাল থেঁতো করে সেটি সিদ্ধ করে এই পানি খেলে ঋতুর গোলযোগে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২। যাদের অল্প অল্প প্রসাব হয় এবং বারবার প্রসাব হয় এবং প্রসাবের জ্বালা থাকে তারা যদি অশোক বীজ ঠান্ডা পানি দিয়ে বেটে খায় তাহলে প্রসাবের রোগ ভালো হয়। ৩। যাদের গর্ভপাত হয়, তারা গর্ভাবস্হায় রোধে অশোক ছালের ক্বাথ খেলে গর্ভ ঠিক হয়।

শেয়ার করুন: