সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। অতিমারির সঙ্কটে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ব্যায়াম করতে হবে। তাই নিজেকে ফিট রাখতে শরীরচর্চার জন্য সময় বের করাটা জরুরি। এক্ষেত্রে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান, কখন ব্যায়াম করবেন। সকালে, না সন্ধ্যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন সময়টা শরীরচর্চার জন্য উপযোগী।
সকাল: আসলে শরীরচর্চার সঠিক সময় বলে কিছু নেই বা হয়না। যারা ভোরে ওঠেন, তাদের জন্য অবশ্যই সকালটা শরীরচর্চার সবচেয়ে ভালো সময়। আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করতে পারলে গোটা দিনটা ঝরঝরে লাগে। এতে এন্ডরফিরন নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। তাতে মন ভালো থাকে। ফলে ব্যায়ামের পরে আনন্দ হয়। কাজের ইচ্ছা বাড়ে। সকালে ব্যায়ামের আরো একটি সুফল আছে। এতে খিদে বাড়ে এবং হজমও ভালো হয়।
যদি দৌড়াতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে আধা ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন। সকালে হাঁটলে রক্তের লোহিত কণিকাগুলো থেকে চর্বি ঝরে যায়, হাঁটার সময় রক্তের ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ক্ষয় হয়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। সকালে হাঁটলে বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে হৃৎপিন্ড রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে সরবরাহ করে। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হাঁটলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এতে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে যায় এবং শরীরের দূষিত পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় দেখায়।
সন্ধ্যা: যারা ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কাজ করেন, সকালে ব্যায়াম করার সুযোগ তাদের না-ই হতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্ধ্যা-রাতে একটু দৌড়ানো কিংবা জিমে যাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রকৃত পক্ষে কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য সান্ধ্য ব্যায়াম ভালো। তাতে সকালে সামান্য হলেও বেশি ঘুম হয়। যা অত্যন্ত জরুরি। সন্ধ্যায় ব্যায়াম করার ভালো দিক হলো, ততক্ষণে দিনের অনেকটা কাজ করে ফেলেছে শরীর। ভারী ব্যায়ামের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে যারা অনেকক্ষণ দৌড়ানোর মতো কিছু করতে চান, তাদের জন্য এই সময়টা ভালো। সন্ধ্যায় ব্যায়াম করলে সারা দিনের কাজের ধকল শরীর থেকে চলে যায়। ফলে রাতের ঘুমটা ভালো হয়।