পালংশাক
পালংশাক

পালংশাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

পালংশাক (Spinich) বর্ষজীবী, গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পালংশাক বেশ জনপ্রিয়, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পাতা সবজি। বৈজ্ঞানিক নাম Spinacea olerocea। বাংলাদেশে শীতকালে এর চাষ করা হয়।

দোআঁশ উর্বর মাটি বেশি উপযোগী। এছাড়াও এঁটেল, বেলে-দোআঁশ মাটিতেও চাষ করা যায়। অতীতে বাজারে টক পালংও কিনতে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এই শাকও ছিল খুবই উপকারী। শিশুদের জন্য পালং শাক বিশেষ উপকারী। পালংশাকের জাত পুষা জয়ন্তী, কপি পালং, গ্রিন, সবুজ বাংলা ও টকপালং।

রাসায়নিক উপাদান: পালং এ আছে নবেল জায়েন্ট, ব্যানার্জি জায়েন্ট, পুষ্প জ্যোতি ইত্যাদি। শ্বাসকষ্টে পালংয়ের বীজ ব্যবহৃত হয়। আহারেও ঔষধে এই গাছের সমস্ত অংশই ব্যবহৃত হয়।

পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিন আছে ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ২.৮ গ্রাম, আঁশ আছে ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস আছে ২০.৩ মি. গ্রাম, অ্যাসিড (নিকোটিনিক) ০.৫ মি. গ্রাম, রিবোফ্লোবিন থাকে .০৮ মি. গ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা, ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আই. ইউ, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রা, থায়ামিন আছে .০৩ মি.গ্রা।

উপকারিতা: ১। মাথাঘোরার সমস্যা থাকলে ৫০ গ্রাম পরিমাণ পালংশাক ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১ কাপ পানি হয়ে আসলে নামিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন এই কাঁথ দুবার খেলে মাথাঘোরা কমে যায়। ২। বিষাক্ত কীট দংশনে পালংশাকের শিকড় চন্দনের মতে কেটে প্রলেপ দিন। বিষ ও জ্বলা যন্ত্রনা কমে যাবে।

৩। পালংশাক ৫০গ্রাম পরিমাণ নিয়ে অল্প গরম করে তাতে ৩ কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। এককাপ পানি অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে এই ক্বাথ সকাল - বিকাল সেবন করবেন। নিয়মিত সেবন করলে রক্তপিও আরোগ্য হয়।

শেয়ার করুন: