জনসংখ্যা

দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ, গড় আয়ু বাড়ল ২ মাস

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯১ লাখ। ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আগের ছয় মাসে জনসংখ্যা বেড়েছে আরো ৯ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ হালনাগাদ জরিপে নতুন এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিবিএস মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

জরিপে বলা হয়, দেশে বর্তমানে মোট পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার। এ ছাড়া দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর আট মাস।

এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭১ বছর দুই মাস, আর নারীদের ৭৪ বছর পাঁচ মাস। ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ছয় মাস।

মূল প্রতিবেদনে এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, সারা দেশের দুই হাজার ১২টি নমুনা এলাকার ১২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন মানুষের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের হিসাবে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২.৮ বছর, যা ২০১৯ সালে ছিল ৭২.৬ বছর।’

জরিপকালীন তথ্যানুযায়ী, জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ১.৩০ জন হয়েছে। আগের বছর এই হার ছিল ১.৩২ জন। এর ৫৪ শতাংশ পল্লী এলাকায় আর ৪৬ শতাংশ শহরে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, শিশুমৃত্যুর হার অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হাজারে ২১টি শিশু মারা যাচ্ছে। মাতৃমৃত্যুতে আরেকটু উন্নতি হয়ে প্রতি হাজারে ১.৬৩ জন হয়েছে। আগের বছরে এটি ছিল ১.৬৫ জন। বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ মাস অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের বছরও একই হার ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নমুনা এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে ৬৩.৯ শতাংশ মানুষ। শহর এলাকায় ৬৪.৭ শতাংশ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার এখন ৭৫.২ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার ছিল ৬৩.৬ শতাংশ। আর ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫.৬ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘আমরা এখন জনসংখ্যাকে ভয় পাই না। কারণ মানুষ আমাদের সম্পদ। আরবদের তেল রয়েছে, আমাদের রয়েছে মানুষ।’

শেয়ার করুন: