করোনা

বিশ হাজার বছর আগে করোনার মতো ভাইরাসের সংক্রমণ

২০ হাজার বছর আগেও নাকি পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল। ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সায়েন্স জার্নালে উল্লিখিত গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসে।

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (সান ফ্রান্সিসকো)’র বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালাচ্ছেন।

এই টিমের মুখ্য গবেষক কিরিল আলেক্সান্দ্রোভ বলেছেন, এই ভাইরাস আরও আগে থেকেই মানুষের শরীরে ঢোকার কৌশল শিখে গিয়েছিল। চীনে ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসের মহামারি ছড়িয়েছিল।

৮০০ জনের মৃত্যু হয় সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোমে। সৌদি আরবে ২০১২ সালে মার্স ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। একে বলা হয়েছিল মিডল ইস্ট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম।

৮৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এই সার্স ও মার্স ভাইরাসের সঙ্গে সার্স-কভ-২ বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তর মিল। এই দুই প্রজাতিও করোনাভাইরাস গোষ্ঠীরই দুই সদস্য।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সার্স ও মার্স-এর জিনের বিন্যাস বের করে অনুমান করা হচ্ছে ২০ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে এমনই ভাইরাসের উপদ্রব সইতে হয়েছিল মানব সভ্যতাকে।

বর্তমান সময়ে ভাইরাস যেভাবে মানুষের শরীরের প্রোটিন চিনে নিয়ে দ্রুত বিভাজিত হচ্ছে বা রূপ বদলাচ্ছে, তার থেকেই বিজ্ঞানীদের অনুমান, অনেক আগে থেকেই এই ভাইরাস বা এরই কোনো প্রজাতি মানুষের শরীরে ঢোকার উপায় চিনেছিল।

বছরের পর বছর রূপ বদলে এই ভাইরাসের সংক্রামক ক্ষমতা আরও বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাসের পরিবার অনেক বড়। বিজ্ঞানের ভাষায়- এদের পরিবারের নাম’ করোনাভিরিডি’।

এদের চারটে ভাগ আলফা করোনাভাইরাস, বিটা করোনাভাইরাস, ডেল্টা করোনাভাইরাস এবং গামা করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিটা করোনাভাইরাস হচ্ছে যত গণ্ডগোলের মূল। মানুষের শরীরে ছোবল বসাতে পছন্দ করে ওই বিটা করোনারাই।

বিজ্ঞানীরা এমনও মনে করছেন হাজার হাজার বছর আগে যে ভাইরাস মহামারির কারণ হয়েছিল তার সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা এখনকার ভাইরাসের মতো এত সাংঘাতিক ছিল কি না। বর্তমান বিশ্বে যে সার্স-কভ-২ ছড়িয়ে পড়েছে তার মারণ ক্ষমতা কয়েকশ’ গুণ বেশি।

শেয়ার করুন: