উল্লাপাড়া সড়ক সেতু

অপরিকল্পিত নির্মাণে সেতুটি ধসের মুখে

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অপরিকল্পিতভাবে সড়ক সেতুর গাইড ওয়াল নির্মাণের তিন বছরের মাথায় ধসে পড়ায় উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নের সেনগাতী সড়ক সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। গাইডওয়াল ধসে পড়ায় এলাকার জনগণের চলাচলে জনদুভোর্গে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন বাজার থেকে সেনগাতী নামক স্থানে সড়কের ওপর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে চারটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ লোক ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

কয়েক দিন ধরে অতিবৃষ্টিপাতের ফলে সেতুর দুই পাশের গাইডওয়াল ধসে পড়ায় উপজেলা শহরের সঙ্গে প্রায় ৮-১০টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার দুর্গানগর, মোহনপুর, কয়ড়া ও সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের প্রায় দেড় লাখ লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সেনগাতী গ্রামের হাজী তাইজুল ইসলাম, খোকন প্রাং ও ছাবিল অভিযোগ করে জানান, অপরিকল্পিতভাবে গাইড ওয়াল নির্মণের ফলে ধসে পড়ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও বর্ষার পানি ওই সেতুর দুই পাশ দিয়ে গড়া শুরু করলে স্রোতের চাপে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে চারটি ইউনিয়নের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে সরকারের নতুন উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

তারা আরো জানান, সেনগাতী গ্রামে ধসে পড়া সেতুর গাইডওয়াল নির্মাণকাজ নিম্নমানের হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই ধসে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফছার আলী জানান, ফুলজোর নদী খনন কাজের সময় বেকোর আঘাতে গাইডওয়াল ফেটে যায়। কয়েক দিন ধরে অতিবৃষ্টিপাতের ফলে ওই ফেটে যাওয়া স্থান দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় গাইডওয়াল ধসে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, নদী খনন কাজে ব্যবহত বেকো চলাচলে গাইডওয়াল ফেটে যায়। ফলে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে গাইড ওয়াল ধসে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ধসে পড়া গাইডওয়াল পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন: