তাকি উসমানি

কু প্রবৃত্তির খপ্পর থেকে যেভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব: মুফতি তাকি উসমানি

মানুষের অন্তর মাত্রই পাপ কল্পনা বা কু প্রবৃত্তি আসতে পারে। এটা অন্যায় নয়। কিন্তু এ কল্পনা লালন করাই বড় অন্যায়। আর পৃথিবীর অপরাধ জগতের সিংহ ভাগই এই উৎস থেকে উৎসারিত। তাই কল্পনা আসা মাত্রই তা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হবে।

অন্তর থেকে মুছে ফেলতে হবে তার ছাপশুদ্ধ। আমাদের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী আব্দুল হাই রহ. এই পাপ কল্পনা থেকে উত্তরণের একটি পথ বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মনোরাজ্যে যখন গুনাহের কাজ করার কল্পনা আসে তখন আল্লাহকে স্মরণের মাধ্যমে তাকে তাড়িয়ে দাও। যদি এতে সেই কল্পনা তাড়িত না হয় বরং ক্রমশঃ ঝড়াে হাওয়ার রূপ পরিগ্রহ করতে থাকে, তাহলে চক্ষু বন্ধ করে কিছুক্ষন্দু তােমার পারিবারিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে বিচরণ। কর।

মনকে জিজ্ঞেস কর- যদি এখন আমার পিতা-মাতা আমার সামনে থাকেন তাহলে কি আমি তাদের সামনে এ ধরণের গহিত কাজে লিপ্ত হতে পারবাে? যদি আমার উস্তাদ আমার সামনে থাকেন তাহলে কি আমি তার সামনে এ ধরণের কাজ করতে পারবাে?

যদি এখন আমাদের সমাজপতি এখানে উপস্থিত থাকেন তাহলে কি আমি তার সামনে এ কাজে লিপ্ত হতে পারবাে? যদি একান্ত অবাধ্য হয়ে বা চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে এ কাজে জড়িয়েই পড়ি তাহলে তারা আমাকে কি ধরণের শাস্তি দিতে পারেন? দেখবে, তখন অবশ্যই অবশ্যই মনাে মুকুর থেকে কনার ন্যগশুদ্ধ মুছে যাবে। তারপর চিন্তা কর-এরা দেখলে হয়তাে

জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ সাময়িক ভাবে আমাকে ভৎসনা করবে। বড়জোর কিছু উত্তম-মধ্যমও দিবে। কিন্তু এরপর আর কোন খবরও থাকবেনা। অথচ মহান আল্লাহ রাম্বুল আলামীনের সামনে যদি আমি এ কাজে লিপ্ত হই তাহলে কি তিনি আমাকে সাময়িক শাস্তি দিবেন, না চিরস্থায়ী?

আর সে শান্তি কি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রীয় পরিসরে সীমিত, না হযরত আদম থেকে নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের সামনে দেয়া হবে? তিনি বলেন, আশা। করা যায় যে, এ ভাবে চিন্তা করলে আল্লাহর রহমতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যাবে।

শেয়ার করুন: