এসি

এসি কখন কোন মোডে চালাবেন?

গরমের তীব্রতায় যখন জীবন অতিষ্ট হয়ে যায়, দেখা মেলে না বৃষ্টির , তখন একটু স্বস্তির পরশ পাওয়া যায় এসির বাতাসে। এখন অনেকের বাড়িতেই এসি আছে, আর অফিসে তো এখন সবাই এসি ব্যবহার করছেন। এসির বাতাস নিয়ন্ত্রণের জন্য কতগুলো মোড রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন জানি না। কিন্তু এসি ব্যবহারের জন্য এবং এসির কম্প্রেসার ভাল রাখার জন্য এই ব্যাপারগুলো জেনে রাখা ভাল।

কুল মোড: সাধারণত বাসা বাড়ি এবং অফিসের এসিতে আমরা সবাই কুল মোড ব্যবহার করে থাকি। কুল মোডকে বলা হয় এসির ডিফল্ট মোড। এই মোডে এসি চালালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে আপনি কতটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। এই মোডের আদর্শ তাপমাত্রা হল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসি চালালে এসির কম্প্রেসারে কম চাপ পড়ে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

ফ্যান মোড: এই মোডে এসির কম্প্রেসার বন্ধ থাকে এবং ভেতরকার ফ্যান অনবরত ঘুরে বাতাস তৈরী করে। কম্প্রেসার বন্ধ থাকার কারণে এই মোডে এসি চালালে ঠান্ডা বাতাস বের হয় না এই জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় সব থেকে বেশি।

ড্রাই মোড: বছরের কিছু কিছু সময় আদ্রতা বেশি থাকার কারণে তাপমাত্রা কম থাকলেও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। সমুদ্রের আশেপাশের এলাকাগুলোতে আদ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং শুধুমাত্র এই আদ্রতার কারণে এসি চালিয়েও স্বস্তির পরশ মেলে না। ড্ৰাই মোড বাতাসের অতিরিক্ত আদ্রতা দূর করে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। এই মোডে বাতাস থেকে অতিরিক্ত আদ্রতা দূর করে দেবার জন্য এসির ফ্যানের গতিবেগ কম থাকে এবং কম্প্রেসার কিছু সময়ের জন্য চালু থাকে। এতে আপনার ঘর একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায় না আবার গরমও থাকে না। ফ্যান মোডের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আরেকটি ভাল উপায় হচ্ছে ড্ৰাই মোড। তবে মনে রাখতে হবে ড্ৰাই মোড বাতাসকে একেবারে শুকিয়ে ফেলে না বরং যতটুকু আদ্রতা কমলে শরীরে আরাম হয় ঠিক ততটুকু আদ্রতা কমিয়ে ফেলে।

কুইক কুল মোড: এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেটা আগেই বলেছি। এখন যে মোডের কথা বলব, এতে বিদ্যুতের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। ঘরের তাপমাত্রা যদি ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি হয় তখন দ্রুত ঘর ঠান্ডা করার জন্য এই মোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কুইক কুল মোডে ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসি চলে এবং কিছুক্ষনের মধ্যে ঘরের তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। যদিও ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ আনতে কুল মোড এবং কুইক কুল মোড মোটামুটি একই সময় নেয়। কিন্তু কুইক কুল মোডে ঘরের তাপমাত্রা ২৫ডিগ্রিতে পৌঁছেও অনবরত কমতে থাকে সেইসাথে ফ্যান খুব দ্রুত ঘোরে আর কম্প্রেসার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করে।

স্লিপ মোড: রাতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে গেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। স্লিপ মোডে এসি চললে প্রতি ঘন্টায় এসির তাপমাত্রা ১ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে। এতে ঘুমানোর সময় অনেক বেশি ঠান্ডাও লাগে আবার ঘুম থেকে উঠে শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে থাকে না। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য স্লিপ মোডও বেশ ভাল কাজ করে।

শেয়ার করুন: