সবারই কিছু না কিছু কমতি থাকে। কেউ হয়তো আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসতে পারবে না, কিন্তু ভালো রাখতে পারবে। আবার কেউ কেউ খুব ভালোবাসা দেখালেও, তার অন্তরালে শুধু কষ্টই থাকে! তাই সঙ্গী নির্বাচনে একটু সাবধান থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে, একে-অপরের সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারলে একসঙ্গে ঘর করা মুশকিল! তবে কিছু কিছু স্বভাব বিয়ের পরে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে কখনোই সুখের হবে না বিবাহিত জীবন।
অন্যের সামনে খারাপ ব্যবহার: যতই ঝগড়া, অশান্তি হোক লোকের সামনে বা প্রকাশ্যে তা না আনা ভালো। বরং, বাড়িতে শান্তিতে বসে মিটিয়ে নিলে সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়। কিন্তু যদি দেখেন আপনার সঙ্গী সবার সামনে আপনার সমালোচনা করছে, তবে সাবধান হয়ে যান।
আপনার সাফল্যে খুশি না হওয়া: অনেকেই নিজের সঙ্গীর সাফল্য সহজে হজম করতে পারেন না। তারা মনে করেন, তাদের সঙ্গী যদি তাদের ছাপিয়ে যায়, তাহলে তাদের মান কমে যাবে। যার কারণে তারা প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন।
সবসময় ভুল ধরা: অনেকেই আছেন যারা অন্যের ভুল ধরে আনন্দ পান। বিশেষ করে সঙ্গীর সব কাজে কোনো খারাপ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ভুল ধরিয়ে দেওয়া একদিকে ভালো। এটে আপনি নিজেকে ঠিক করার সুযোগ পাবেন। তবে যদি তা অনবরত হতে থাকে, তাহলে বিপদ বড়ই।
সন্দেহবাতিক: যদি বুঝতে পারেন আপনার সঙ্গী আপনার অজান্তে আপনার ব্যক্তিগত জিনিস, মোবাইল ঘাটে, তাহলে সে মানুষটার সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। কারণ, সন্দেহ করার স্বভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায় ও পরবর্তীতে তা ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কারও প্রতি আকর্ষণ অনুভব: আজকাল প্রেম আর বন্ধুত্ব মিলেমিশে একাকার। তাই অনেকেই প্রেমিক বা প্রেমিকার সামনে অন্য নারী বা পুরুষের প্রশংসা করেন খোলামেনে। একটু পেছনে লাগারও সুযোগ মেলে এতে। কিন্তু যদি কখনও বুঝতে পারেন আপনার সঙ্গী শারীরিকভাবে কারও প্রতি আকর্ষণ অনুভব করছে, তাহলে সাবধান হয়ে যান।