ভারতীয় খাবার

ওজন কমাতে কখন রাতের খাবার খাবেন?

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বাসার সবাই মিলে খাওয়ার সুযোগ মেলে রাতে। কর্মজীবী সবাই আরাম আয়েশ করে খাওয়ার ‍সুযোগ পায় এই একবেলায়। তবে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে রাতের খাবারের বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। রাতের খাবার কোন সময়ে খাওয়া হচ্ছে, কি খাওয়া হচ্ছে এই দুইটি বিষয় অনেক জরুরী। অনেকে আবার ডায়েট করতে যেয়ে রাতের খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেয়। এর ক্ষতিকর দিক আছে।

রাতের খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়:
রাতে খেয়ে তারপরই ঘুমাতে গেলে তা শরীরের বিপদ ডেকে আনে। ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া সম্পন্ন করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে খাওয়া দাওয়া করে তাদের ক্যান্সার,ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। ক্রীড়াবিদ এবং বিভিন্ন শরীরচর্চা কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আছেন তাদের বিছানায় যাওয়ার এক ঘন্টা আগে হালকা প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করা উচিত।

দুপুর ও রাতের খাবারের সময়ের পার্থক্য:
মধ্যাহ্নভোজন এবং রাতের খাবারের মধ্যে ৪ থেকে ৫ ঘন্টার ব্যবধান থাকতে হবে। এই ব্যবধান খাবার হজমে সহায়তা করে। এছাড়া কখন কি পরিমাণ খাওয়া উচিত এই বিষয়েও নির্দেশনা দেয়।

দুই খাবারের মাঝখানে স্ন্যাকস:
হালকা ক্ষুধা লাগলে বিশেষজ্ঞরা বিকাল ৪ টা থেকে ৫ টার মধ্যে হালকা নাস্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্ন্যাকস হিসেবে যে খাবার খাওয়া হবে তা অবশ্যই ২০০ ক্যালোরির কম হওয়া উচিত এবং এতে চিনির পরিমাণ হবে ৫ গ্রামের কম। স্ন্যাকস হিসেবে যা খাচ্ছেন অবশ্যই প্রোটিন থাকতে হবে।

কাজের পরে যদি ওয়ার্কআউট করেন সেক্ষেত্রে:
যাই হোক না কেন, আপনার রাতের খাবার এড়িয়ে যাবেন না কারণ যখন সবাই রাতের খাবার এড়িয়ে যায়, তখন তারা স্ন্যাকসের উপর বেশি নির্ভর করে। আপনি যদি অফিস শেষে ওয়ার্কআউট করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে বিকাল ৪ টায় নাস্তা করুন। তা হতে পারে একটি আপেলের সাথে পনিরের স্ট্রিং, দুটো শুকনো খেজুরের সাথে পিনাট বাটার। ওয়ার্কআউটের পরে কিছু বাদাম খেতে পারেন।

যদি আপনি রাতের খাবারের পরে কাজ করার পরিকল্পনা করেন, আপনার খাবারটি দুটি ভাগে ভাগ করুন। শরীরে ঘাম হওয়ার আগে একবার এবং সেটি হবে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এবং ওয়ার্কআউটের পরে আরেকবার।

রাতের খাবার না খাওয়ার ক্ষতিকর দিক:
রাতের খাবার না খেলে সবার প্রথমে যে সমস্যাটি হবে তা হলো ঘুম ভালো না হওয়া। মাঝরাতে ক্ষুধা লেগে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে। এছাড়া রাতের খাবার না খেলে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরি হয়।

শেয়ার করুন: