সবুজ আপেলের চাষ

সবুজ আপেল ভালো নাকি লাল আপেল ভালো?

ডাক্তারের থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার কথা কে না শুনেছেন! আর এ থেকেই বোঝা যায় আপেলের উপকারিতার কথা। এর হাই ফাইবার, সহজে হজম হওয়ার ক্ষমতা, প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খাদ্যগুণ আপেলকে ফলের রাজা বানিয়েছে। সকালের নাস্তায় কিংবা বিকেলের হালকা খাবারে আপেল আপনি রাখতেই পারেন। কিন্তু কথা হলো কোন আপেল খাবেন, সবুজ নাকি লাল?

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সবুজ আপেলের চাষ শুরু হয়। মারিয়া অ্যান স্মিথ নামে এক মহিলা প্রথম সবুজ আপেলের চাষ করায় এই ধরনের আপেলকে গ্র্যানি স্মিথ আপেলও বলা হয়। ফ্রান্সের ক্র্যাব আপেল এবং রোম বিউটির হাইব্রিড করে ১৮৬৮ সালে প্রথম সবুজ আপেল উত্পন্ন করা হয়।

সবুজ ও লাল আপেলের মধ্যে পুষ্টিগুণ প্রায় এক। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সবুজ আপেলে খাদ্যগুণ বেশি থাকে। সবুজ আপেলে সুগার ও কার্বের পরিমাণ কম থাকে। অন্যদিকে ফাইবার, প্রোটিন, পটাসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন কে বেশি মাত্রায় থাকে।

তবে এই পার্থক্যটা খুবই সামান্য। কিন্তু লাল আপেলের সঙ্গে সবুজ আপেলের তফাত্ করিয়ে দেয় ভিটামিন এ। লালের তুলনায় সবুজ আপেলে দ্বিগুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তবে লাল আপেলে কিন্তু সবুজের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

ভিটামিন এ বেশি থাকায় সবুজ আপেল দৃষ্টিশক্তি উন্নত, হাড়ের শক্তি বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে বেশি উপকারী। তবে সবুজের থেকে লাল আপেল বেশি পাওয়া যায় বলে এটিই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। আর লাল আপেল খেলেও কম উপকার পাবেন না।

শেয়ার করুন: