চিচিঙ্গা

চিচিঙ্গার এতো গুণ!

চিচিঙ্গা ( Snake gourd) এটি বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trichosanthes cucumerina। চিচিঙ্গা প্রায় সকলেরই চেনা। এটি আমরা তরকারি রেঁধে খাই। এর আয়ুর্বেদিক ও সংস্কৃত নাম দধিপুষপ। গ্রীষ্মকালে এর বীজ পোঁতা জয়। বর্ষার এর ফুল ও ফল হয়। এর ফল ৩-৪ ফুট লম্বা হয় এবং ব্যাস এক থেকে দেড় ইঞ্চি হয়। চিচিঙ্গার গায়ে ডোরা কাটা দাগ দেখা যায়।

সব রকম মাটিতে চিচিঙ্গার চাষ করা যায় তবে জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আশঁ ও বেলে দো-আশঁ মাটিতে ভালো জন্মে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের সকল রাজ্যে এর চাষ করা হয়ে থাকে। এর বীজ ও ফল এবং পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

রাসায়নিক উপাদান: চিচিঙ্গায় রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আঁশ, ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি- যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। চিচিঙ্গা আন্টিবায়োটিকের মতো প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পুষ্টিগুন: চিচিঙ্গাতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২৭ মিলিগ্রাম, কেরোটিন ৯৭ মিলিগ্রাম প্রায়, ফসফরাস আছে প্রায় ২২ মিলিগ্রাম এবং আয়রন আসে ০ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম। এছাড়া রয়েছে আঁশ, ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি- যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি একটি ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক তরকারি, যাতে আছে বিভিন্ন ধরনের এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়।

উপকারিতা: ১। চিচিঙ্গা রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ২। চিচিঙ্গা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৩। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৪। চুল পড়তে থাকলে চিচিঙ্গা লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়।

৫। চিচিঙ্গার পাতা বেটে গরম করে পানির সাথে সকাল বিকেল খেলে চর্মরোগ ভালো হয়। ৬। অরুচি হলে চিচিঙ্গা কেটে সেদ্ধ করে তার সাথে লবন মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে অরুচি কাটবে। ৭। পাকা চিচিঙ্গার বীজ গুড়ো করে রোজ সকালে পানির সাথে খেলে কৃমি ভালো হয়। ৮। কফ,কাশি হলে চিচিঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন: