বেতো শাক

বেতো শাকের উপকারিতা

বেতো গাছ গুল্ম জাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium album Linn। এই গাছ ছোট ছোট হয়।আমাদের বাসভূমির আশেপাশে জন্মায় বলে এই বেতো শাকের আরেক নাম বাস্তক। এর গাছ হয় ছোট, গাছের পাতা অনেকটা তুলসী পাতার মতো, কিন্তু পাতাগুলোর ধার বেশ ঢেউ খেলানো।

চন্দন বেতো ছাড়াও লাল বর্ণবিশিষ্ট পাতাযুক্ত বেতো শাক দেখা যায়। বেতো শাক বায়ু, পিত্ত ও কফনাশক এবং অগ্নিবল বৃদ্ধিকারক। এটি ক্ষারধর্মী। এর মধ্যে কৃমিনাশক শক্তি রয়েছে। বেতো শাক বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় জন্মে। এটি অনেক উপকারী একটি শাক। বেতো শাক নানা রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পুষ্টিগুণ: বেতো শাক পুষ্টিগুনে ভরা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, সালফার। এতে থাকা ভিটামিন সি তে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহকে ভাইরাল অসুখ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন এ ভালো রাখে দৃষ্টিশক্তি আর ভিটামিন কে হাড় এবং মস্তিষ্ককে রাখে সচল। সালফার দেহে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এটি দেহে হার্ট অ্যাটাক, আর্থ্রাইটিস ও ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে বেতো শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

উপকারিতা: ১। শুকনো কাশি হলে বেতো শাক রান্না করে খেলে কাশি দূর হয়। ২। যদি ছোট ছোট কৃমি হয় তাহলে বেতোশাকের রস প্রতিদিন সকালে অল্প গরম করে সেবন করলে কৃমি ভালো হয়। ৩। আমাশয় হলে বেতোশাক চূর্ণ করে দই মিশিয়ে সকাল বিকেল খেলে আমাশয় ভালো হয়। ৪। পাইলস হলে বেতোশাকের রস অল্প গরম করে নিন। এরপর মহিষের দুধের সংঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। ৫। লিভার ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন বেতোশাক খাওয়া প্রয়োজন। ৬। অরুচি হলে বেতোশাক হিসাবে ভাত খাবার আগে খেলে রুচি ফিরে। ৭। বেতোশাকের রস ঘোলের সাথে মিশিয়ে খেলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন: