ফিতরা পাপ ও পাপের গ্লানি দূর করে

ড. মুহাম্মাদ আল আমীন: বিদায় নিচ্ছে বরকতময় পবিত্র রমজান। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার প্রতি অনুগ্রহ করে পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণে ভরপুর রমজান দান করেছেন। তিনি চান বান্দা যেন তা থেকে উভয় জীবনে পাথেয় অর্জন করে। বিশেষত তাকওয়া বা আল্লাহভীতি ধন যেন সব মুমিনের সৌভাগ্যে হয় সেটা চান মহান আল্লাহ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন পূর্ববর্তীদের ওপর করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’

কিন্তু আমরা কি তা অর্জন করতে পেরেছি? রমজান পেয়েও গোনাহ মাফ করাতে না পারলে হাদিসে ধ্বংস হওয়ার কথা এসেছে। কিন্তু আমরা কি গোনাহ মাফ করাতে পেরেছি? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা রেখে গোনাহ ছাড়তে না পারলে রোজা অর্থবহ হবে না। আমরা কি গোনাহ ত্যাগ করতে পেরেছি? রমজানের এই শেষ লগ্নে হিসাবটা যেন আমরা করে নেই।

একটু চিন্তা করলেই মুমিন বান্দার হৃদয় গ্লানিতে ভরে যাবে। সত্যিই রোজার সৌরভ ও সম্পদ আমরা অর্জন করতে পারিনি। যা করণীয় তা করিনি এবং যা বর্জনীয় তা ছাড়িনি। রমজান আমাদের জীবনে কোনো পরিবর্তনই আনতে পারেনি। তাহলে উপায়? দয়ালু মহান আল্লাহ বান্দার জীবনের এই পাপ এবং মনের গ্লানি দূর করতে সদকাতুল ফিতরার বিধান দিয়েছেন।

ফিতরা রোজার ত্রুটি, জীবনের পাপ এবং মনের গ্লানি দূর করে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রোজাদারকে অনর্থক কথা ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে পবিত্র করা এবং মিসকিনদের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদাকাতুল ফিতর আদায়কে ওয়াজিব করেছেন। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।

শেয়ার করুন: