'আড়ংয়ের অভিযানের সঙ্গে মঞ্জুরের বদলির সম্পর্ক নেই'

আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে জরিমানা করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বদলির আদেশ অভিযানের আগেই দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ। তিনি বলেছেন, এর সাথে তার বদলির কোনো সম্পর্ক ছিল না। আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।

পাঞ্জাবির অতিরিক্ত দাম রাখায় সোমবার আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

এরপরই বিকেলে তাকে খুলনা জোনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরই সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমলোচনার ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শাহরিয়ারের বদলি আদেশটি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার প্রায় দুই বছরের বেশি সময় এখানে চাকরি করেছেন। এখন একটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটে গেছে। তিনি কিন্তু দুপুর একটার পরে এই অভিযান চালিয়েছেন, নট বিফোর দ্যাট।

আর আমরা ফাইলটি ডিসপোজাল করলাম…আমার অফিস তো আর জানতো না উনি এই সময়ে আড়ংয়ে অভিযানে যাচ্ছেন বা এই রকম একটা ঘটনা ঘটছে। আমি কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনকারী ছিলাম সকাল ১০টা ২০ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে। আর ফাইলটি কিন্তু গত ২৯ মে বিকাল ৩টা ৩৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে উত্থাপিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় ফাইল নিষ্পত্তি করি। সব ডকুমেন্ট আছে। একেবারে সেকেন্ড পর্যন্ত উল্লেখ থাকে। ঈদকে সামনে রেখেও আমরা এই অর্ডার করিনি। আরো কয়েকটি বদলি হয়েছে। এটা আমাদের কন্টিনিউয়াস প্রসেস। তারা ঈদের পর একটা সময়ে যোগ দেবেন।

সচিব আরো বলেন, আমি গাড়িতে চলতে চলতেও তো ই-ফাইলিং করি। গতকাল চূড়ান্ত পর্যায়ে জিও (সরকারি আদেশ) জারি হয়েছে দুপুর ২টা ৫২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। তখনও তো এই মোবাইল কোর্টের, আড়ংয়ে অভিযানের খবরই জানি না।

শেয়ার করুন: