পদ্ম

পদ্ম ফুল এবং পাতার উপকারিতা ও গুণাগুণ

পদ্ম (Lotus) একটি জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Nelumbo nucifera। এটি Protsales এর পরিবার ভূক্ত। পুরনো পুকুর, বিলও ঝিলের পাঁকে এই পদ্ম জন্মে। পদ্ম সাধারণত দু প্রকার যথা : শ্বেত পদ্ম ও রক্ত পদ্ম। সারা বছর পানি থাকে এমন জায়গায় পদ্ম ভাল জন্মে। তবে খাল-বিল, হাওর, বাঁওড় ইত্যাদিতেও এ উদ্ভিদ জন্মে। পাতা বড় এবং গোলাকৃতি, কোন কোন পাতা পানিতে লেপটে থাকে, কোনটা উঁচানো।

বর্ষাকালে ফুল ফোটে। ফুল বৃহৎ এবং বহু পাপড়িযুক্ত। সাধারণত বোঁটার উপর খাড়া, ৮-১৫ সেমি চওড়া। ফুলের রং লাল, গোলাপি ও সাদা, সুগন্ধিযুক্ত। পদ্মের মূল, কান্ড, ফুলের বৃন্ত ও বীজ খাওয়া যায়। এছাড়াও পদ্মের মূল, কান্ড, ফুলের বৃন্ত ও বীজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের সব জায়গায় দেখা যায়।

পুষ্টিগুণ: পদ্মবীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিন যা শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে।

উপকারিতা: ১। পদ্মর বীজ খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, রক্তপাতজনিত সমস্যা ও মাসিকের সমস্যা দূর হয়। ২। মুখ দিয়ে রক্ত উঠলে পদ্মের কেশর চিনির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৪-৫ বার খেলে রক্ত ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। ৩। পদ্মের বীজ গুড়ো করে মাখনের সঙ্গে খেলে অর্শের যন্ত্রনা কমে যায়। ৪। জ্বর হলে ডালিমের খোসা ও পদ্মের বীজ একসাথে মিশিয়ে পানির সাথে খেলে জ্বর ও অতিসার রোগ ভালো হয়। ৫। পদ্মের মূল তিল তেলে ভেজে বেটে দু চামচ চিনি দিয়ে মিশিয়ে খেলে মূএরোগ নিরাময় হয়।

৬। পদ্ম কেশর মধুসহ খেলে শুক্রবৃদ্ধি হয় এবং স্বপ্নদোষ ভালো হয়। ৭। পদ্মের ফুল ও কচিপাতা একসঙ্গে বেটে হাতে পায়ে লাগালে হাত ও পায়ের জ্বালা কমে যায়। ৮। পদ্মপাতা শাকের মত রান্না করে খেলে দাহযুক্ত জ্বরে ভালো ফল পাওয়া যায়। ৯। সামান্য ঘিয়ের সঙ্গে পদ্ম হালকা ভেজে নিয়ে নতুন মায়েদের খাওয়ানো হয়। এতে শিশুর জন্য দুধ উৎপাদন বাড়ে। ১০। পদ্ম রান্না করে খেলে দেহের ত্বক সুন্দর করে এবং রক্তের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

শেয়ার করুন: