কদর তালাশের রাত শুরু আজ থেকে

চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই মাসের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো শেষের ১০ রোজার রাত গুলো। আজ রবিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হবে রমজানের শেষ দশক। মানে লাইলাতুল কদরের রাতকে তালাশ শুরু হবে। রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম করেছেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া, এই রাত দেয়ার জন্য। মুসলিম সমাজের প্রত্যেকে এই রাত পাবার চেষ্টায় থাকবেন, কেউই যাতে বঞ্চিত না হন। কিভাবে আমরা এই রাতের কল্যাণ পেতে পারি, এর জন্য ইতিকাফ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা।

এদিকে মুমিন ব্যক্তিরা লাইলাতুল কদরকে পাবার আশায় আজ বিকেল থেকেই ইতিকাফে বসবেন। রমজানের এই শেষ দশক নির্বিঘ্নে ইবাদত বন্দেগিতে যাতে মশগুল থাকতে পারেন এবং এর মধ্যেই যাতে কদরকে পেতে পারেন এই উদ্দেশে তারা ইতিকাফে বসবেন। শুধু একটিই লক্ষ্য আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ। এর বাহিরে যারা থাকবেন তারা কিভাবে লাইলাতুল কদরের রাত পেতে পারেন, তার জন্য অবশ্যই কর্মপন্থা ঠিক করেছেন।

কদর সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন : ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এই রাতটি পুরোপুরি শান্তিময়।’ (সূরা কদর ৩, ৫)

তাই এই রাতকে পাওয়ার উদ্দেশ্যেই রমজানের শেষ দশ রাত ইবাদতে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রতিটি রাতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। যদিও বিজোড় রাতের কথা এসেছে।

রমজানের শেষ দশটি রাত কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, তাসবীহ পড়া, দরুদ পড়া এবং জিকির-আসকার করে লাইলাতুল কদরকে পাওয়ার চেষ্টায় থাকবো প্রতিটি মুসলিম ধর্মপ্রাণ ভাই ও বোনেরা।

এদিকে কদর সম্পর্কে এক হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (স.) বলেছেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে, তখন স্বয়ং পরওয়ার দেগার দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলতে থাকেন, ওগো! কে আছ, যে (এ সময়) আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব। ওগো! কে আছ, যে আমার কাছে কিছু চাবে, আমি তাকে তা দিয়ে দিব। ওগো! কে আছ, যে এ সময় আমার কাছে গুণাহ হতে ক্ষমা চাবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (বুখারী, মুসলিম)

আমরা পুরো রাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেব এবং শেষ রাতকে অবশ্যই বেশি প্রাধান্য দিব। ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পানি ঝড়িয়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় আবেগ তাড়িত হব।

শেয়ার করুন: