আজ ২০তম তারাবিতে সূরা ইয়াসিনের দ্বিতীয় রুকুর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সূরার শেষ পর্যর্ন্ত পঠিত হবে। সঙ্গে সূরা সাফফাত, সূরা সা’দ, সম্পূর্ণ এবং সূরা জুমুার তৃতীয় রুকু পর্যন্ত পঠিত হবে। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২৩তম পারা।
পাঠকদের জন্য আজকের তারাবিতে পঠিত অংশের মূলবিষয়বস্তু তুলে ধরা হল।
৩৬. সূরা ইয়াসিন : ২২-৮৩
দ্বিতীয় রুকুর শেষার্ধ থেকে রুকুর শেষ পর্যন্ত, ২২ থেকে ৩২ নম্বর আয়াতে পূর্ববর্তী ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
তৃতীয় রুকু। ৩৩ থেকে ৫০ নম্বর আয়াতে আল্লাহর কয়েকটি নির্দশনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ ও পঞ্চম তথা শেষ রুকু। ৫১ থেকে ৮৩ নম্বর আয়াতে কেয়ামতের কঠিন সময়ে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের অবস্থা কেমন হবে বিশদ বলে সূরার সমাপ্তি টানা হয়েছে।
৩৭. সূরা সাফফাত : ১-১৮২
মক্কায় অবতীর্ণ সূরা সাফফাতের রুকু মোট পাঁচটি এবং আয়াত সংখ্যা ১৮২। আজকের তারাবিতে পূর্ণ সূরাই পঠিত হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় রুকু। ১ থেকে ৭৪ নম্বর আয়াতে অবিশ্বাসীদের প্রতি আল্লাহতে সমর্পন হওয়ার আহ্বান ও যৌক্তিকতা পেশ করা হয়েছে। বিশ্বাসীদের প্রতিদান সম্পর্কেও আলোচনা রয়েছে দ্বিতীয় রুকুতে।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম রুকু। ৭৫ থেকে ১৮২ নম্বর আয়াতে নূহ, ইবরাহিম, মুসা, ইউনুসসহ আরো কয়েকজন নবীর জীবনী বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্বাসীদের জীবনযাত্রা কেমন এবং অবিশ্বাসীদের পরিণতি কত করুণ তা বোঝানোর জন্য এই আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষকে আবার ইমানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সূরার ইতি টানা হয়েছে।
সূরা সা’দ : ১-৮৮
সূরা সা’দ। নাজিল হয়েছে মক্কায়। রুকু পাঁচটি। আয়াত মোট ৮২টি। আজ পঠিত হবে পূর্ণ সূরা।
প্রথম ও দ্বিতীয় রুকু। ১ থেকে ২৬ নম্বর আয়াত। সূরা শুরু হয়েছে কোরআনের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে। পরবর্তীতে যারা এতে সন্দেহ পোষণ করে তাদের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নবী (সা.)কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওদের কথায় কর্ণপাত না করে সত্য প্রচারে দৃঢ় থাকুন।
তৃতীয় ও চতুর্থ রুকু। ২৭ থেকে ৬৪ নম্বর আয়াতে সুলাইয়মান, আইউব (আ.)সহ আরো কয়েকজন নবী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিদর্শন সম্পর্কেও।
পঞ্চম তথা শেষ রুকু। ৬৫ থেকে ৮২ নম্বর আয়াতে আবার আদম (আ.) এবং অভিশপ্ত ইবলিসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। ইবলিস থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েই সূরার সমাপ্ত করা হয়েছে।
সূরা জুমার : ১-৩১
সূরা জুমার। নাজিল হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৭৫। রুকু মোট আটটি। আজ পঠিত হবে তৃতীয় রুকু পর্যন্ত।
প্রথম রুকু, ১ থেকে ৯ নম্বর আয়াত। তাওহীদের আলোচনা যুক্তির মাধ্যমে বান্দাকে বোঝানো হয়েছে। মোমিন বান্দার বৈশিষ্ট্য কী তাও বর্ণনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় রুকু। ১০ থেকে ২১ নম্বর আয়াতে মোমিনদের উদ্দেশ্যে অল্প কিছু নসিহত করে আবার অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা বলা হয়েছে বারবার।
তৃতীয় রুকু। ২২ থেকে ৩১ নম্বর আয়াতে বিশ্বাসী অবিশ্বাসীর মান-মর্যাদা, চিন্তা-চেতানার তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হয়েছে।