করমচা

করমচার উপকারিতা জানলে অবাক হয়ে জাবেন!

করমচা (Bengal currant বা Christ's thorn) এটি কাঁটাময় গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carissa carandas। এটি Carissa এর গণভুক্ত। এই গাছ প্রায় ২.৫-৩.০ মিটার লম্বা । করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের কাঁটাওয়ালা গুল্ম। বড় সাদা ও ফিকে গোলাপি রঙের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখতে কিছুটা কুন্ধ ফুলের মতো। এর ফলের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ,পাকায় লাল হয়।

অত্যন্ত টক স্বাদের হয় এই ফলটি। ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে। বর্ষায় ফল পাকে। করমচা চাষে জমি উঁচু হলেই ভালো,তবে নিচু জমিতেও চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকে। করমচা খুব শক্ত ধরনের গাছ এবং দেহে আঠালো রস থাকে। এই গাছটি বাংলাদেশ সহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এই গাছ পাওয়া যায়। এই গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিগুণ: করমচায় প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে এনার্জি ৬২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৪০ আইইউ, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম ও কপার ০.২ মিলিগ্রাম।

উপকারিতা: ১। করমচায় ভিটামিন সি-তে ভরপুর তাই করমচা খেলে মুখে রুচি আসে। ২। করমচা খেলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে ও হৃদপিন্ড ভালো থাকে। ৩। করমচা খেলে মৌসুমি সর্দি-জ্বর, কাঁশি ভালো হয়। ৪। করমচা খেলে যকৃত ও কিডনির উপকার হয়। ৭। করমচা কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

৮। করমচা খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। ৯। বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী। ১০। করমচাতে রয়েছে ভিটামিন এ তাই চোখের জন্য খুবই উপকারী। ১১। নিয়মিত করমচা খেলে ত্বক ভালো থাকে। ১২। করমচা খেলে দাঁত ও মাড়ি উপকার হয়।

১৩। করমচা গাছের মূলে সিদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে হৃদরোগ নিরাময়ে হয়। ১৫। করমচা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১৬। ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী। ১৭। করমচা স্কাভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ১৮। করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়।

শেয়ার করুন: