গোলাম রাব্বানী
গোলাম রাব্বানী

অভিমান থেকে পদত্যাগের কথা বলেছিলাম: গোলাম রাব্বানী

‘অভিমান’ থেকে গত শনিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

গত সোমবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

গত শনিবার মধ্যরাতে টিএসসিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতানেত্রীদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা হয়। এবং সেই হামলারও অভিযোগ ওঠে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় নারী নেত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

এরপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে শনিবার মধ্যরাতে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন হামলার শিকার ব্যক্তিরা। পরে তাদের বুঝিয়ে আন্দোলন থেকে সরিয়ে আনেত গিয়ে গোলাম রাব্বানী তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সরি! তোমরা চলে যাও। আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।’

পদত্যাগের সেই ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার সাংবাদিকদের গোলাম রাব্বানী বলেন, যেহেতু তারা সংগঠনের বদনাম করছে, তাই অভিমান থেকে পদত্যাগের কথা বলেছি। বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন বলেও দাবি তার।

গোলাম রাব্বানী বলেন, আমার তখন খুব খারাপ লাগছিল, ছাত্রলীগকে ওরা একটা হাস্যকর ব্যাপার করে ফেলছিল। তারা ওখানে বসে থাকলে ছাত্রলীগের… হচ্ছে, সবাই ছাত্রলীগ নিয়ে…। তাই আমি তাদের বলেছি, আমি পদত্যাগ করলে যদি তোমরা খুশি হও, আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কথাটা অভিমান থেকে বলেছিলাম বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গত কমিটির প্রচার সম্পাদক ও আন্দোলনকারী সাঈফ বাবু।

বৈঠকে ছাত্রলীগের উভয় অংশের নেতারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের প্রতিশ্রুতি দেন, আজ সোমবার থেকে মধুর ক্যান্টিনে তারা একসঙ্গে উপস্থিত হয়ে সংগঠনের সকল ধরনের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। আর নিজেদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না। এখন থেকে দুই পক্ষই সংগঠনের ইতিহাস ঐতিহ্যকে সম্মান করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক পতাকাতলে চলার প্রতিশ্রুতি দেন এবং নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান শেষে গ্রুপ ফটোসেশনে অংশ নেন।

শেয়ার করুন: