ড্রেসিং করা মুরগী

ড্রেসিং করা মুরগীর জায়েজ ও না জায়েজ পদ্ধতি

বাজার থেকে মোরগ মুরগি কেনার পর ড্রেসিং করার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ প্রচলিত কিছু পদ্ধতিতে মুরগির গোশত নাপাক হয়ে যায়। যা খাওয়া যাবে না। বাজারে জবেহ করা মুরগি ড্রেসিংয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা-

ক. জবেহ করা মোরগ-মুরগি ইত্যাদি যদি পরিষ্কার উত্তপ্ত গরম পানিতে এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে পেটের ভিতরের নাপাকির আছর (ক্রিয়া) গোস্তে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে।

খ. ড্রেসিংয়ের পূর্বে যে পানিতে চুবানো হয়, সেই পানি যদি গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা প্রবাহিত রক্ত বা মল-বিষ্ঠা ইত্যাদির কারণে নাপাক হয়ে থাকে। এরপর সেই নাপাক পানিতে যদি মোরগ-মুরগি এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যাতে নাপাক পানি গোস্তের ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলেও সেই গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে। আর যদি এর চেয়ে কম সময় রাখা হয়,তাহলে ভিতরের গোস্ত নাপাক হবে না। তবে বাহিরের অংশ নাপাক হওয়ায় তিনবার ধুয়ে নিবে। তাই সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে ড্রেসিং না করাই উত্তম।

তবে যদি একান্ত করতেই হয়, তাহলে পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে। উল্লেখ্য যে, জবেহ করার পর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে ড্রেসিং করলে গোস্ত পবিত্র থাকবে এবং এটাই ড্রেসিংয়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি। (ফাতহুল কাদীর,(১/২১১) মারাকিউল ফালাহ, ১৬০ ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং০৫)

সারকথা হলো, মুরগীর পেটে থাকা নাড়িভুরি তথা ময়লা বের করার পর যদি ড্রেসিং করে তাহলে উক্ত মুরগী খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ময়লা বের না করে যদি গরম পানিতে চুবানো হয়, আর তাতে নাড়িভুরির ময়লা গোস্তের সাথে মিলে যায়, তাহলে উক্ত মুরগী নাপাক সাব্যস্ত হবে, এবং তার গোস্ত খাওয়া জায়েজ হবে না। আর সাধারণতঃ মুরগীর নাড়িভুরি বের না করে গরম পানিতে রাখলে মুরগীর গোস্তের সাথে নাড়িভুরির নাপাক মিশে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাই একাজটি অবশ্য বর্জনীয়।

শেয়ার করুন: